চলতি বছরেই ইউএস ওপেনের পরেই টেনিসকে বিদায় জানানোর কথা জানান দিয়েছেন সানিয়া মির্জা। এখন পর্যন্ত পরিকল্পনা তেমনটাই রেখেছেন সানিয়া। দক্ষিণ এশিয়ান এই টেনিস তারকা আগেই জানিয়েছিলেন, এই বছরই তার টেনিস জীবনের শেষ। এই বছরই অবসর নেবেন তিনি। কিন্তু ঠিক কবে অবসর নেবেন জানাননি।
আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে  সানিয়া জানান, বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম ইউএস ওপেন খেলেই অবসরের পরিকল্পনা করেছেন তিনি। তবে নতুন করে চোট পেলে তার আগেই সরে দাঁড়াবেন।
এখন রোমে ক্লে-কোর্টে ইটালিয়ান ওপেন খেলছেন সানিয়া। তার জুটি লুসি রাদেকা। সোমবার প্রথম রাউন্ডে সানিয়া-রাদেকা জুটি ৬-১, ৬-২ গেমে উড়িয়ে দিয়েছেন পোল্যান্ডের অ্যালিসায়া রোসোলস্কা ও নিউজিল্যান্ডের এরিন রুটলিফ জুটিকে। ষষ্ঠ বাছাই সানিয়াদের প্রি-কোয়ার্টারে খেলতে হবে এলিনা রিবাকিনা-লিউডমিলা সামসোনোভা জুটির সঙ্গে।
সানিয়া জানান, শরীর ঠিক থাকলে বা নতুন করে চোট না পেলে তিনি ফ্রেঞ্চ ওপেনের পরে বছরের বাকি দু’টি গ্র্যান্ড স্লাম উইম্বলডন ও ইউএস ওপেনেও খেলবেন। প্রতিটি প্রতিযোগিতার আগে প্রস্তুতি সারার জন্য সংশ্লিষ্ট কোর্টের দু-একটি প্রতিযোগিতাতেও খেলবেন। তবে কোন কোন প্রস্তুতি প্রতিযোগিতায় খেলবেন, তা এখনও ঠিক করেননি।
এখন যেমন ক্লে-কোর্টের প্রস্তুতি সারতে রোমে খেলছেন। এরপর ১৫ মে থেকে ফ্রান্সের স্ট্রসবার্গে আরও একটি প্রতিযোগিতায় খেলতে পারেন। সেটিও চূড়ান্ত নয়। ২২ মে থেকে ফ্রেঞ্চ ওপেন শুরু হচ্ছে। চলবে ৫ জুন পর্যন্ত।
বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্লাম উইম্বলডন চলবে ২৭ জুন থেকে ১০ জুলাই। তার আগে বার্মিংহাম, বার্লিন বা ইস্টবোর্নে ঘাসের কোর্টে প্রস্তুতি সারতে পারেন সানিয়া। বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম ইউএস ওপেন শুরু ২৯ অগস্ট থেকে। চলবে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তত দিন পর্যন্ত চোটমুক্ত থাকলে খেলে যাবেন সানিয়া। তার পরেই টেনিসকে বিদায় জানাবেন তিনি।
ভারতের প্রথম মহিলা টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার নজির রয়েছে সানিয়ার। ডাবলসে বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর সিঙ্গলসে সর্বোচ্চ ২৭ নম্বরে উঠেছিলেন। এশিয়ান গেমস এবং কমনওয়েলথ গেমসে পদক রয়েছে তাঁর। শেষ বার গ্র্যান্ড স্ল্যাম পেয়েছিলেন ২০১৬-র অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে মার্টিনা হিঙ্গিসের সঙ্গে জুটি বেঁধে। মোট ৬টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম রয়েছে তাঁর। ডাবলস এবং মিক্সড ডাবলসে তিনটি করে। সব থেকে বেশি সাফল্য হিঙ্গিসের সঙ্গেই।
সম্প্রতি টেনিস কোর্টে সে ভাবে দেখা যায়নি তাকে। ২০১৮ থেকে মাতৃত্বকালীন বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। এরপর অতিমারিতে কোর্টে ফেরার সম্ভাবনা আরও থমকে যায়। শেষ খেতাব এসেছে ২০২১ সালের অস্ত্রাভা ওপেনে।