মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে দুই প্রেমিকের মারামারি থামাতে গিয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা এখন ধারালো ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার হাসাইল পদ্মা তীরে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রেমিকা মানহা জিসানাকে নিয়ে উপজেলার হাসাইল পদ্মা তীরে ঘুরতে আসে ধীপুর ইউনিয়নের মৃত মনির মোল্লার ছেলে ফাহিম মোল্লা। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলো জিসানার আরেক প্রেমিক খলাগাও গ্রামের আবু তালেব শেখের ছেলে সিয়াম।

সিয়াম ঘটনাস্থলেই জিসানাকে থাপ্পর মারলে ফাহিম গ্রুপ ও সিয়াম গ্রুপের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এ সময় হাসাইল বানারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নিশাদ মেলকার মারামারি থামাতে গেলে ফাহিম গ্রুপের নিলয় আহম্মেদ নিশাদকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে।

গুরুতর আহত নিশাদকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। নিশাদ হাসাইল বানারী ইউনিয়নের আজগর মেলকারের ছেলে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা: শহীদুল ইসলাম জানান, গুরুতর আহত হওয়া নিশাদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যক্তিরা জানান, ঘটনার পর ফাহিম গ্রুপের নিলয় দ্রুত পালিয়ে যায় আর সোহাগ গুরুতর জখম নিয়ে বালিগাঁও ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়ার সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। আর স্থানীয়রা ফাহিম মোল্লা ও মাহিম মোল্লাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

স্থানীয়রা জানান, ইতোপূর্বে ফাহিম মোল্লা গনাইসারের একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে শারীরিক সম্পর্ক করে মেয়ের কাছ থেকে কৌশলে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে মেয়েটি মামলা করে। এর কিছু দিন পরই ফাহিম ঢাকা আন্তজার্তিক বিমানবন্দর থেকে স্বর্ণ চোরাচালানের সময় বিপুল পরিমাণ অবৈধ স্বর্ণসহ গ্রেফতার হয়। উঠতি বয়সের উশৃঙ্খল ফাহিম মোল্লা তার গ্রুপের ক্ষমতা দেখানোর জন্য নানা অপকর্ম করে থাকে।

নিশাদের বাবা আজগর মেলকার জানান, তার ছেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।

টঙ্গীবাড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী জানান, মারামারি ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।