আগামী মাসেই শুরু হতে যাচ্ছে বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম প্রতিযোগিতা উইম্বলডন। এ প্রতিযোগিতাতেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে রাশিয়া ও বেলারুশের টেনিস খেলোয়াড়দের।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েন টেনিস খেলোয়াড়েরা। যেটি একেবারেই ঠিক মনে হয়নি স্বাগতিক দেশ যুক্তরাজ্যের টেনিস তারকা অ্যান্ডি মারের। তাঁর মতে, এটি রাশিয়া ও বেলারুশের খেলোয়াড়দের জন্য অন্যায় সিদ্ধান্ত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে দেশটির ওপর পড়তে শুরু করে নানা নিষেধাজ্ঞা। দেশটির ক্রীড়াক্ষেত্রেও পড়ে তার প্রভাব। সে ধারাবাহিকতায় উইম্বলডনের আয়োজক অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাব টেনিস খেলোয়াড়দেরও নিষেধাজ্ঞা দেয়।
এ কারণে পুরুষদের টেনিস র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর খেলোয়াড় রাশিয়ার দানিল মেদভেদেভ, মেয়েদের র্যাঙ্কিংয়ের চার নম্বর বেলারুশের আরিনা সাবালেঙ্কার মতো তারকারা এবারের উইম্বলডনে অংশ নিতে পারছেন না।
বিবিসির খবর প্রতিবেদন অনুযায়ী এ ব্যাপারে অ্যান্ডি মারে বলেন, ‘আমি খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ হওয়াকে সমর্থন করি না। সরকারের এ দিকনির্দেশনা সহায়ক ছিল না। আমার মনে হয়েছিল, রুশ ও বেলারুশের খেলোয়াড়েরা খেলতে পারবে, যদি তারা যুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।’
এরপর এ তারকা জানান, এ নিষেধাজ্ঞা অন্যায় মনে হবে খেলোয়াড়দের জন্য, ‘আমি কিছু রুশ খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলেছি। যে খেলোয়াড়রা খেলার অনুমতি পায়নি, সত্যিই আমার তাদের জন্য খারাপ লাগছে। এটা তাদের কাছে অন্যায় বলে মনে হবে।’
এদিকে, টেনিসের আরেক তারকা নোভাক জকোভিচ এ সিদ্ধান্তকে ‘পাগলামি’ বলে উল্লেখ করেছেন। স্প্যানিশ তারকা রাফায়েল নাদালও বলছেন, এটি অন্যায়।
নাদাল বলেন, ‘আমি মনে করি, এটি রাশিয়ান টেনিস খেলেয়াড়দের জন্য ও আমাদের সহকর্মীদের জন্য প্রতি অন্যায় করা হবে। যুদ্ধের সঙ্গে যা ঘটেছে, তাতে খেলোয়াড়দের কোনো দোষ নেই।’
আগামী ২৭ জুন শুরু হবে উইম্বলডন, শেষ হবে ১০ জুলাই। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর জার্মানি ও জাপানের খেলোয়াড়দের উইম্বলডনে খেলতে দেওয়া হয়নি। এরপর এ প্রথম প্রতিযোগিতাটিতে কোনো দেশের ক্রীড়াবিদদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে।