ক্রীড়া প্রতিবেদক :
এক ম্যাচ হাতে রেখেই ঘরোয়া ক্রিকেট লীগের শিরোপা নিজেদের পকেটে জমা করেছে শেখ জামার ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাব। কিন্তু শেষটা আনন্দময় হলো না। আজ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) শেষ দিন ছিল। ওল্ড ইজ গোল্ড বলে বিখ্যাত প্রবাদ বাক্যটি আবারো প্রমান দিলেন পুরাতন তারকারা।
মাশরাফী-সাকিবের লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ আজ শেষ ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালকে পাত্তাই দিলো না। পেসার আল আমিন হোসেনের বোলিং তোপে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ ৮ উইকেটে হারিয়েছে শেখ জামালকে। ৩১ রানে ৬ উইকেট নেন আল আমিন।
এক ম্যাচ হাতে রেখেই এবারের ডিপিএলের শিরোপা জয় নিশ্চিত করেছিলো শেখ জামাল। তবে হার দিয়ে মৌসুম শেষ করলো প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন হওয়া শেখ জামাল। আর শেষ ম্যাচ জিতে রানার্স আপ হলো লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ।
শেখ জামাল শিরোপা জিতে নেয়ায় লিগের শেষ পর্বটা পরিণত হয়েছে নিয়মরক্ষার। তাতে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ। বল হাতে নিয়েই জ্বলে উঠেন পেসার আল আমিন। ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে উইকেট তুলে নেন তিনি।
তৃতীয় উইকেটে ৬৪ রান তুলে শুরুর বিপদ কাটিয়ে উঠেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও মুশফিকুর রহিম। ২৫ রান করা মুশফিককে থামিয়ে জুটি ভাঙ্গেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।
অন্যপ্রান্তে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমরুল। তবে ৫০ রানেই থেমে যান ইমরুল। ৭৫ বলের ইনিংসে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫০ রানে আউট হন তিনি।
দলীয় ৬৪ রানে মুশফিক ও ৮৪ রানে আউট হন ইমরুল। এরপর শেখ জামালের ইনিংসের ধস নামান আল আমিন ও ভারতের চেরাগ জানি। ৩২ রানে শেষ ৬ উইকেট হারায় শেখ জামাল। এই উইকেটের মধ্যে ৪টি আল আমিন ও ২টি চেরাগ জানি নেন। শেষ পর্যন্ত ৩৪ দশমিক ৪ ওভারে ১১৬ রানে গুটিয়ে যায় শেখ জামাল।
৮ দশমিক ৪ ওভার বল করে ৩১ রানে ৬ উইকেট নেন আল আমিন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ষষ্ঠবারের মত পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নিলেন আল আমিন। এছাড়া জানি ২৬ রানে ২টি ও মাশরাফি ২১ রানে ১ উইকেট নেন। ৫ ওভার বল করে ২৮ রান দিয়ে উইকেটশুন্য ছিলেন সাকিব।
১১৭ রানের সহজ টার্গেট স্পর্শ করতে বেড় পেতে হয়নি লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জের। ১৪৯ বল বাকী রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। ওপেনার ইরফান শুক্কুর ১৪ রানে ও তিন নম্বরে নামা সাব্বির রহমান ৩৬ রানে আউট হন। সাব্বির ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
তবে দলের জয় নিশ্চিত করেন আরেক ওপেনার রাকিবুল হাসান ও এ ম্যাচের অধিনায়ক নাইম ইসলাম। রাকিবুল ৭৯ বলে অপরাজিত ৪০ ও চার নম্বরে নামা নাইম ১৪ বলে অপরাজিত ২৩ রান করেন। রাকিবুল-নাইম ৪টি করে চার মারেন। ম্যাচ সেরা হন আল আমিন।
১৫ ম্যাচ শেষে ১২টি জয় ও ৩টি হারে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে শিরোপা জিতলো শেখ জামাল। আর ১৫ খেলায় ১১টি জয় ও ৪টি হারে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে থেকে রানার্স আপ হলো লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ।