ক্রীড়া ডেস্ক :
পাকিস্তানের হয়ে ২০০০ সাল থেকে ২০১২ অবধি খেলেছিলেন আরাফত। ১২ বছরে মাত্র তিনটি টেস্ট, ১১টি এক দিনের ম্যাচ এবং ১৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলছেন।
প্রথম বারের আইপিএলে পাকিস্তানের একাধিক ক্রিকেটার অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই বছর মুম্বইয়ের তাজ হোটেলে জঙ্গি হানার পর পাকিস্তান ক্রিকেটারদের আইপিএল খেলা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। সেই সময় পাকিস্তানের অলরাউন্ডার ইয়াসির আরাফত দ্বিতীয় মরসুমে খেলবেন বলে ঠিক করেছিলেন। যদিও সেটা সম্ভব হয়নি, কিন্তু তিনি শাহরুখ খানের ফোন পেয়েছিলেন।
কলকাতা নাইট রাইডার্সে আরাফতকে নিতে চেয়েছিলেন শাহরুখ। তিন বছরের জন্য চুক্তি করতে চেয়েছিলেন নাইট দলের মালিক। একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরাফত বলেন, “প্রথম বারের আইপিএলে কারা খেলবে সেটা ঠিক করে দিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সেই তালিকায় আমার নাম ছিল না। সেই জন্য খেলতে পারিনি। ২০০৮ সালে কেন্টের হয়ে কাউন্টি খেলছিলাম। সেখানে কেকেআর দলের স্কাউটরা এসে আমার সঙ্গে কথা বলে। তাঁরা জানিয়েছিলেন যে শাহরুখ খান চান আমি কলকাতার হয়ে খেলি।”
কিন্তু আরাফত মনে করেছিলেন সেটা নিছক মজা ছিল। তিনি বিশ্বাসই করতে চাননি প্রথমে। আরাফত বলেন, “আমি ভেবেছিলাম মজা করছে ওঁরা। শাহরুখ কেন আমাকে নেওয়ার জন্য লোক পাঠাবেন। ওঁরা যদিও নিজেদের কার্ড দিয়েছিলেন এবং আমার ফোন নম্বর এবং ইমেল আইডি নিয়েছিলেন। কয়েক সপ্তাহ পরে আমি ইমেল পাই যে আমার সঙ্গে কথা বলা যায়নি এবং আমি রাজি হইনি বলে। এর পর শাহরুখ আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি আমার সঙ্গে তিন বছরের জন্য চুক্তি করতে চেয়েছিলেন। এর পর মুম্বইতে জঙ্গিহানা হল এবং পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের আইপিএল খেলা নিষিদ্ধ হয়ে গেল।”