জনপ্রিয় ক্রিকেটার তাসকিনকে অ্যাম্বাসেডর করে ফ্ল্যাগশিপ অ্যামোলেড ডিসপ্লে’র ‘নোট ১২’ বাজারে আনল ইনফিনিক্স, মনোমুগ্ধকর অ্যামোলেড ডিসপ্লে’র এই বাজেট স্মার্টফোনে রয়েছে, ৩৩ ওয়াট ফ্ল্যাশ চার্জ সুবিধা, ১২৮জিবি রম + ১১জিবি বর্ধিত র্যাম এবং হেলিও জি৮৮ আল্ট্রা গেমিং প্রসেসর ও অন্যান্য সর্বাধুনিক ফিচার।
প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স সাশ্রয়ী মূল্যে দেশের তরুণদের চাহিদানুযায়ী সেরা স্মার্টফোন উপহার দিতে নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং ইতোমধ্যে নিজেকে নতুন প্রজন্মের জনপ্রিয় মোবাইল ব্র্যান্ডে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছে। এবার পবিত্র ইদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে ইনফিনিক্স ফ্যানদের দ্বিগুণ আনন্দের ভাগিদার করতে চায়। আর তাই, জনপ্রিয় ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদকে ‘নোট সিরিজ’ এর প্রোডাক্ট অ্যাম্বাসেডর করতে পেরে ইনফিনিক্স গর্বিত। তরুণ আইকন তাসকিন ইনফিনিক্সের নোট সিরিজ এর ডিভাইসগুলোর প্রচারণায় অংশ নিতে ব্র্যান্ডটির সঙ্গে এক-বছর মেয়াদি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। নতুন প্রজন্মের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে পছন্দের ব্র্যান্ড বা ‘ব্র্যান্ড অব চয়েস’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ইনফিনিক্স বিশ্বাস করে, নোট সিরিজ এর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও এটির মূল্যায়ন গ্রাহকের কাছে তুলে ধরতে তাসকিন-ই উপযুক্ত ব্যক্তিত্ব।
ইনফিনিক্সের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গে তাসকিন বলেন, “গ্রাহকপ্রিয় ও নান্দনিক ডিজাইন, সর্বাধুনিক ফিচার, সর্বোচ্চ মান-সম্পন্ন গড়ন এবং অসাধারণ গেমিং কোর নিয়ে ইনফিনিক্স তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে কাঙিক্ষত স্মার্টফোন ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। দেশের নতুন প্রজন্মের একজন প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে জনপ্রিয় এই ব্র্যান্ডটির প্রচারণার সুযোগ পেয়ে আমি একইসঙ্গে কৃতজ্ঞ ও আনন্দিত।”
ইনফিনিক্স আজ ব্র্যান্ডটির প্রিমিয়াম সিরিজ এর ‘নোট ১২’ ডিভাইসের যাত্রা শুরু ঘোষণা করেছে, যেটি গ্রাহকদের সেরা স্মার্টফোনের অভিজ্ঞতা দেবে। এই মোবাইল ফোনটিতে রয়েছে, আকর্ষণীয় ৬.৭ এফএইচডি+ ট্রু কালার অ্যামোলেড ডিসপ্লে যা গ্রাহকদের অসাধারণ অভিজ্ঞতা দিতে সক্ষম। গেমিংভক্তদের জন্য ডিভাইসটিতে আরো আছে, হেলিও জি৮৮ আল্ট্রা গেমিং প্রসেসর এবং ৩৩ ওয়াট ফ্ল্যাশ চার্জ সুবিধাযুক্ত ৫০০০এমএএইচ ব্যাটারি, যেটি ব্যবহারকারীদের দীর্ঘসময় অসাধারণ গেমিং অভিজ্ঞতা এনে দেবার পাশাপাশি ডিটিএস স্পিকার এবং অন্যান্য গেমিং কিটও সাপোর্ট করে। প্রিমিয়াম এই স্মার্টফোনটির কাঙ্ক্ষিত ফিচারের মধ্যে আরো রয়েছে, চমৎকার ও আকর্ষণীয় ছবি ক্যামেরাবন্দি করার জন্য ৫০ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-নাইট ট্রিপল ক্যামেরা, ৭.৯এমএম আল্ট্র-স্লিক ডিজাইন এবং ১১জিবি (৬জিবি+৫জিবি) পর্যন্ত বর্ধিত র্যাম সুবিধা। ইনফিনিক্স ‘নোট ১২’ প্রযুক্তি ও ফিচারে নিঃসন্দেহে তার পূর্ববর্তী স্মার্টফোনকে ছাড়িয়ে গ্রাহকদের মন জয় করবে।
সাশ্রয়ী মূল্যে এই ডিভাইসটির ৬.৭ এফএইচডি+ ট্রু কালার অ্যামোলয়েড ডিসপ্লে সত্যিকার অর্থেই বিশেষ কিছু; আর তাই ‘নোট ১২’কে নির্দ্বিধায় বলা-ই যায় ‘অ্যামোলয়েড স্টানার’। স্মার্টফোনের ‘অ্যামোলয়েড ডিসপ্লে’তে ব্যাটারির চার্জ কম খরচ হয়। এছাড়া এই ডিসপ্লে ব্যবহারকারীরা যেকোনো আলোতে বৃহদাকার পর্দায় ‘ক্রিস্টাল ক্লিয়ার’ দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। অনন্য প্রযুক্তির সন্নিবেশ, ৭.৯এমএম আল্ট্র-স্লিক ডিজাইন এবং ফিদার-লাইট ফিচার সহ অসাধারণ কর্মদক্ষতায় এই স্মার্টফোনটি প্রায় নিখুঁত।
হেলিও জি৮৮ আল্ট্রা গেমিং এ রয়েছে ২এক্স কর্টেক্স-এ৭৫ এবং ৬এক্স কর্টেক্স-এ৫৫ প্রসেসরস, যেটি গেমিং সহ অধিক সিপিইউ ব্যবহার হওয়া ভারী এপ্লিকেশন সমূহের যুগান্তকারী পারফরম্যান্স পেতে সাহায্য করে।
এছাড়া, ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারিতে রয়েছে ৩৩ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সুবিধা (টাইপ-সি), যেটি সর্বোচ্চ ৮০০ বার চার্জ পরিক্রম পূরণে সক্ষম। শক্তিশালী ব্যাটারি থাকার ফলে ব্যবহারকারীরা কোনো দুশ্চিন্তা ছাড়াই স্মার্টফোনটি ব্যবহার করতে পারেন। ডিভাইসটির পাওয়ার ম্যারাথন টেকনোলজির ফলে শুধুমাত্র ৫ শতাংশ চার্জ থাকাকালীনও ফোনে বাড়তি দুই ঘণ্টা কথা বলা সম্ভব হয়। ৫০০০ এমএএইচ এর ব্যাটারি গেমারদের গেমিং এ বাড়তি স্বাচ্ছন্দ্য দেবে, কারণ এতে রয়েছে ডিটিএস সহযোগে সমন্বিত ডুয়েল-স্পিকার, যেটি ৩৬০ ডিগ্রিতে শব্দ ছড়িয়ে দিতে সক্ষম ও আরো আছে ’মনস্টার গেমিং’ কিট ব্যবহারের সুবিধা।
ডিভাইসটির ৬ জিবি মেমোরি ১১ জিবিতে বর্ধিত করা সম্ভব র্যাম এবং রম এর সমন্বয়ে, যেটি শুধু প্রসেসিং-ই দ্রুত গতির করবে না, একইসঙ্গে বিভিন্ন কাজের পারফরম্যান্সও বাড়িয়ে দেবে। ৫০ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা নাইট ট্রিপল ক্যামেরা (৫০+২+২) ব্যবহাকারীদের নাইট ফটোগ্রাফির নতুন ও ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা দিতে সাহায্য করবে এবং স্মার্টফোনটির মাধ্যমে ৮১৬০*৬১২০ আল্ট্রাহাই রেজ্যুলেশনের ছবি তোলা যাবে, ক্যামেরায় আরো রয়েছে ১/২.৮ বৃহৎ ইমেজ সেন্সর এবং ১.২৮ μস পিক্সেল সাইজ। ‘নোট ১২’তে আরো ১৬ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা, যেটি দিয়ে প্রতিবারই আকর্ষণীয় ও মনোমুগ্ধকর ছবি তোলা সম্ভব হয়।
‘নোট ১২’ এর অন্যতম আরো ফিচারের মধ্যে রয়েছে, এক্সঅ্যারিনা-ডারলিংক ২.০ (যাতে ব্যাটারির সক্ষমতা বাড়াতে ডিভাইস ব্যবহারের প্যাটার্ন বুঝা যায়), তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, মেমোরি ফিচার এবং সর্বোচ্চ গেমপ্লে পারফরম্যান্স সুবিধা; এছাড়া, কোর টেম্পারাচার ৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত কমাতে ৬-লেয়ার গ্রাফিন কুলিং সিস্টেম, সংস্পর্শ ছাড়াই, আরো সহজে ও কার্যকরভাবে কাজ করার জন্য একাধিক এআই ভয়েস অ্যাসিসটেন্ট; আরো আছে, চমৎকারভাবে মাল্টিটাস্কিং করার জন্য এক্সওএস ফিচার। তাই ফোন ব্যবহারকারীরা একই স্ক্রিনে মাল্টিটাস্ক ছাড়াও, একাধিক উইন্ডো খোলা, ভিডিও দেখা এবং গেমস খেলার মতো কাজ করতে পারেন।
তিনটি বিশেষ রঙে ’নোট ১২’ পাওয়া যাবে বাজারে। এগুলো হচ্ছে, ‘ফরেস্ট ব্ল্যাক’, ‘সানসেট গোল্ডেন’, ‘জুয়েল ব্লু’ ও ডিভাইসটির দাম ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ২৯৯ টাকা। ইনফিনিক্স ভক্তদের কাছে অতিপ্রিয় এই স্মার্টফোনটি পাওয়া যাবে অনলাইন স্টোর ‘দারাজ’, ‘পিকাবো’ এবং গ্রাহকের হাতের কাছেই সারাদেশের বিভিন্ন আউটলেটে।
ইনফিনিক্স সম্পর্কে:
বিশ্বব্যাপী মোবাইলের ডিজাইন, তৈরি এবং বাজারজাতকরণে দ্রুত বর্ধনশীল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স মোবাইল ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। নিজেদের ব্র্যান্ডের ডিভাইসগুলো ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে দিতে বড়সড় পোর্টফোলিও নিয়ে কাজ করছে ইনফিনিক্স। জেড প্রজন্মকে লক্ষ্য করে ইনফিনিক্স নিপুনভাবে ডিজাইন করা স্মার্টফোনের নান্দনিক স্টাইল, ক্ষমতা এবং পারফরমেন্সসহ কাটিং-এইজ প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে। ডিভাইসগুলোকে ট্রেন্ডি লুক দেয়া এবং প্রান্তিক ব্যবহারকারী কাছে সহজলভ্য করার ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে আছে তারা। ‘ফিউচার ইজ নাউ’কে ধারণ করে, ইনফিনিক্স তরুণ গ্রাহকদের এমন সব সুবিধা হাতের নাগালে এনে দিতে চায় যাতে বাজারে থাকা প্রতিযোগীদের ভিড়ে বিশ্বকে তাদের সক্ষমতার কথা জানান দিতে পারে। ইনফিনিক্সের পোর্টফোলিতে থাকা পণ্যগুলো আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে পৌঁছে গেছে। ইনফিনিক্সের বর্তমান বাজার অভাবনীয় দ্রুত গতিতে বাড়ছে। ২০১৮-২০২০ সালে ১৬০% শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আকর্ষণীয় ডিজাইন ও শক্তিশালী ফিচারসহ ফ্ল্যাগশিপ-পর্যায়ের ডিভাইস তৈরি অব্যাহত রাখতে আগামী দিনগুলোতে বিশাল পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।