গাজীপুরে দেড় বছরের এক শিশুকে অপহরণের ৬দিন পর রবিবার উদ্ধার করেছে জিএমপি’র কাশিমপুর থানা পুলিশ। এঘটনায় জড়িত থাকায় দুই নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার নলপোড়া এলাকার সওদাগর মিয়ার মেয়ে শিমু (২৬), মাগুরা জেলা সদর থানার শ্রীপুর এলাকার আব্দুল হাইয়ের মেয়ে রিনা বেগম (৪০) এবং রিনার প্রেমিক জামালপুরের বকশিগঞ্জ থানার গোয়ালগাঁও এলাকার সিরাজুল মাস্টারের ছেলে মুকিম বিল্লাহ (৪৫)। তারা সবাই গাজীপুরের কাশিমপুর ও কোনাবাড়ি এলাকায় বসবাস করে।
অপহরণের শিকার আরিয়ান হোসেন সাজ্জাদ (১৮ মাস) জামালপুর সদর থানা এলাকার সুনুটিয়া সাধুর পাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
জিএমপি’র কাশিমপুর থানার এসআই দীপঙ্কর রায় জানান, গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন দক্ষিণ জরুনের ডেল্টার মোড় এলাকায় ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে থাকেন আনোয়ার হোসেন। তিনি ও তার স্ত্রী শাকিলা বেগম স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকুরি করেন। প্রতিদিনের মতো গত সোমবার (১৮ এপ্রিল) সন্তানদের বাসায় চাচী ময়ূরীর (আনোয়ারের) কাছে রেখে কর্মস্থলে যান আনোয়ার ও তার স্ত্রী। দুপুরে ছোট ছেলে আরিয়ান হোসেন সাজ্জাদকে দরজার সামনে রেখে গোসল করতে যান ময়ূরী। এসময় অপহরণের শিকার হয় শিশু আরিয়ান। স্বজনরা বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেও আরিয়ানের সন্ধান না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। পুলিশ স্থানীয় সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজ ও বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার ভোররাতে স্থানীয় হরিণাচালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত আরিয়ানকে উদ্ধার এবং এ ঘটনায় জড়িত শিমু, রিনা ও মুকিম বিল্লাহকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তিনি আরো জানান, ঘটনার দিন দুপুরে দরজার সামনে খেলা করার সময় শিশু আরিয়ানকে কৌশলে অপহরণ করে রিক্সাভ্যান যোগে নিয়ে যায় শিমু। পরে ভুয়া নাম ঠিকানা দিয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে শিশুটিকে ৫০ হাজার টাকার চুক্তিতে স্বামী পরিত্যাক্তা নিঃসন্তান রিনা বেগমের কাছে বিক্রি করে। রিনা ও তার প্রেমিক মুকিম দু’জনে চুক্তির ৩০ হাজার টাকা নগদ পরিশোধ করে। রিনা ও মুকিম দু’জনই নিঃসন্তান বলে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে। গ্রেফতারকৃত শিমু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।