জহির ভূইয়া
ঘরের মাঠে ঈদের পরই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ দুই টেস্ট সিরিজে মাঠে নামবে। ১৫ মে চট্টগ্রামের মাটিতে বসতে চলেছে সিরিজের প্রথম টেস্ট আর দ্বিতীয় টেস্ট মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন টেস্ট সিরিজের আগে স্বাগতিকরে ঘরে বোলিং বিভাগে ইনজুরির হানায় টালমাটাল অবস্থা। এবাদত-খালেদ ছাড়া অভিজ্ঞ দুই জনই ইনজুরিতে (তাসকিত-শরিফুল)। তাই এবার হয়তো নতুন মুখ দেখা যাবে টেস্ট সিরিজে। পরিস্থিতি নাই ইঙ্গিত করছে।
টাইগার বাহিনীতে আপাতত ব্যাটিং বিভাগে ফিটনেস নিয়ে সংশয় না থাকলেও পেস বোলিং বিভাগ নিয়ে বিসিবির নির্বাচক কমিটি নড়ে চড়ে বসেছে। কারণ, দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষ করার আগেই দ্বিতীয় টেস্টে ইনজুরি নিয়ে দেশে ফিরেছেন ১১ টেস্টে ২৫ উইকেট শিকার করা পেস তারকা তাসকিন আহমেদ আর ৩ টেস্টে ৬ উইকেট শিকার করা পেসার শরিফুল ইসলাম।
এ দুই জনের পক্ষে আপাতত সহসা বল হাতে ক্রিজে নামা সম্ভব হচ্ছে না। এর সঙ্গে যোগ হয়েছেন ১৪ টেস্টে ২৫ উইকেট শিকারী আরেক পেস তারকা এবাদত হোসেন।
ঘরোয়া ক্রিকেট লীগে শেখ জামালের পক্ষে খেলতে গিয়ে হাতে সেলাই নিয়ে আপাতত মাঠের বাইরে আছেন এই পেসার। তবে আশার কথা যে, বিসিবি চিকিৎসক ড. দেবাশিষ রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, এবাদত হোসেন চট্টগ্রাম টেস্টে খেলতে সমস্যা হবে না।
এবাদত আছেন সঙ্গে আরেক পেসার খালেদ আহমেদও আছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে তাসকিন-শরিফুলের জায়গায় কারা আসছে? কারণ এবাদত আর খালেদ দুই জনের সঙ্গে আরো এক বা দুই জন পেসার মুল দলে থাকবে। একজন ব্যাকআপ আর দলের চাহিদা অনুযায়ী তিন পেসার নিয়ে একাদশও সাঁজানো হতে পারে, আবার নাও পারে।
সে হিসাবে পেস বোলিং বিভাগে টেস্ট সিরিজে এবাদত-খালেদের সঙ্গে আর কারা থাকছে? আসন্ন টেস্ট সিরিজের আগে টাইগার বাহিনীর বোলিং বিভাগ নিয়ে তাই এখন চলছে চুলচেরা হিসেব-নিকেষ।
বিসিবিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিসিবি নির্বাচক কমিটি ১৩ টেস্ট খেলে ৩০ উইকেট শিকার করা পেসার আবু জায়েদ রাহির দিকে নজর দিয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দলের সঙ্গে থাকা আরেক পেসার শহিদুল ইসলামের নামও শোনা যাচ্ছে। সঙ্গে পেসার রেজাউর রহমান রাজের নাম মুল দলের তালিকায় আছে।
সে হিসাবে আপাতত দৃষ্টিতে এবাদত-খালেদ-রাহি কম্বিনেশন দেখা যেতে পারে। আবার নতুন মুখ শহিদুল বা রাজ যে কাউকে দেখা যেতে পারে আসন্ন টেস্ট সিরিজে।