জাতীয় প্রতিবেদক :
বাজার মূল্য নিয়ে খবরের অন্ত নেই। নেই আলোচনার শেষ। টিভিতে প্রতিদিনই টক শো-তে দেশের সবজির বাজার নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। কিন্তু তাতে কি দেশজুড়ে সবজির বাজার নিয়ে তেলেসমতি কারবার থেমে আছে? না নেই, সবজির বাজারে আগুন আগেও ছিল, এখনও আছে। আগুন কখন একটু কম তাপ দিচ্ছে। আবার কখনো কখনো তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
বিগক এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার বাজারগুলোতে একাধিক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। এর সঙ্গেই কমেছে বেশ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এছাড়া আগের দামই বহাল রয়েছে অনেক পণ্যে। সবজি বাজারের মুল্য তদন্তে নেমে ভিন্ন বাজার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চিনি, দেশি মুসুরির ডাল ও মুরগির দাম বেড়েছে এবং দাম কমেছে ডিম ও সবজির। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিরপুর-১, ১১, ১৩ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার, কচুক্ষেত বাজার ঘুরে দামের এই দৃশ্যটি ফুঁটে উঠতে দেখা যায়।
বাজারে শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা আর গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বটবটির কেজি ৬০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৬০ টাকা মটরশুটির কেজি ১২০ টাকা।
১১ নম্বর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী তানভীর আহমেদ হাসান বলেন, বাজারে সবজির আমদানি ভালো। কিন্তু ক্রেতারা রোজার মাসে সবজি কম খায়। এ কারণেই দাম কমেছে।
এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। বাজারে আগের দামে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। পেঁয়াজও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা কেজি।
বাজারে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৮০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা। দুই লিটারের তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা। বেড়েছে চিনির দাম। প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। এছাড়া এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। দেশি মসুর ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও কেজি বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা।
কমেছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা।
১১ নম্বর বাজারের ডিম ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চাহিদা কম থাকায় ডিমের দাম আবার কমেছে। ঈদের পরে ডিমের দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
গরুর মাংসের প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি ৯০০ টাকা। বাজারে মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। সাতদিন আগে প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছিল ১৬০ টাকা। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সোনালি মুরগি। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা।
কচুক্ষেত বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী লুকমান হোসেন বলেন, একদিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ১৫ টাকা দাম বেড়েছে।