বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা ) এর উপকেন্দ্রসমুহের গবেষণা জোরদারকরণ কর্মসূচি এর অর্থায়নে সয়াবিন বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও পরবর্তী করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ হয়। নোয়াখালীর সুবর্ণচরের ভূঁইয়ারহাটের বিনা উপকেন্দ্র মিলনায়তনে রবিবার সকালে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণে উপজেলার ৬০জন প্রান্তিক কৃষক অংশ নেন।

প্রশিক্ষণে বিনা উপকেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী বক্তব্য রাখেন বিনা’র মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিনা’র পরিচালক (গবেষণা ) ড. মোঃ আব্দুল মালেক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী সুবর্ণচর বিএডিসির প্রকল্প পরিচালক মো. আজিম উদ্দিন, বারি নোয়াখালীর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো.মহিউদ্দিন চৌধুরী।

এছাড়াও, উপস্থিত ছিলেন বিনা’র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রায়হান শিকদার, ফার্ম ম্যানেজার ফখরুল আহমেদ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ব্যক্তিবর্গ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিনা’র মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বিনা উদ্ভাবিত সল্পজীবনকাল বিশিষ্ট খরিফ জাতের সয়াবিন চাষাবাদে কৃষকদের নানাবিধ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, বিনা উদ্ভাবিত সয়াবিন খরা সহিষ্ণু হওয়ায় স্বল্প বৃষ্টিপাতে ও ১০০ দিনে ভাল ফলন দিতে সক্ষম। বাংলাদেশে রবি ও খরিফ-২ উভয় মৌসুমেই সয়াবিন চাষ করা যায়। রবি মৌসুমে পৌষের প্রথম থেকে মাঘ মাসের মাঝামাঝি (ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির শেষ) পর্যন্ত এবং খরিফ-২ মৌসুমে মধ্য আষাঢ় থেকে মধ্য ভাদ্র (জুলাইয়ের প্রথম থেকে আগস্টের শেষ) পর্যন্ত বীজ বপনের উপযুক্ত সময়।

বিনা উদ্ভাবিত লবণসহিষুষ্ণসহ অনেক জাত মাঠপর্যায়ে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। এতে কৃষকরাও উপকৃত হচ্ছেন। বারোমাসি বিভিন্ন ফলের জাতে উদ্ভাবনের ফলে কৃষকরা উৎসাহ নিয়ে এসব ফসল চাষ করছেন। দেশের কৃষি খাতকে গতিশীল করার জন্য বিনার গবেষণামূলক কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিনাকে মাঠপর্যায়ে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

বক্তারা দেশের খাদ্য স্বয়ংসম্পুর্ণতা ধরে রাখতে সয়াবিন চাষাবাদ বৃদ্ধিতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেন এবং প্রয়োজনীয় সহযোগীতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।

মোহাম্মদ ছানা উল্যা
নোয়াাখালী