ক্রীড়া ডেস্ক :

বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব চলছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের পর থেকেই। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির খারাপ অবস্থা বহুদিন ধরেই। চলমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে পুরো শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভ ছড়ায়। মন্ত্রী পরিষদ পদত্যাগ করে। দেউলিয়া ঘোষিত হয় শ্রীলঙ্কা। এখন প্রশ্ন আসলেই কি লঙ্কানরা পারবে এশিয়া কাপ আয়োজন করতে!

এমন প্রশ্নের জবাবটা এসিসির শীর্ষ মহল খুঁজতেছে। স্বাভাবিক ভাবেই ভেন্যু বদলের প্রসঙ্গটি চলে আসে। এই সুযোগটি কাজে লাগাতে চাইছে বাংলাদেশ ক্রিকেট (বিসিবি)।লঙ্কান পরিস্থিতি বিসিবি নিয়মিত ফলো করছে, উদ্দেশ্য ‘এশিয়া কাপের আয়োজক হওয়া’।

এই পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও প্রয়োজনীয় জ্বালানির ঘাটতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাসের কারণে শ্রীলঙ্কায় কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে গণবিক্ষোভ।  রাস্তায় নেমে পড়েছে হাজার হাজার জনতা।

কিন্তু আগে থেকেই দেশটিতে ২৭ আগস্ট শুরু হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এশিয়ার সর্বোচ্চ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে পারবে তো? সেই সিদ্ধান্ত জানাতেলঙ্কান বোর্ডৃকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

সরকার বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সাধারণ জনতা। সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রিকেট গ্রেট অর্জুনা রানাতুঙ্গা ও সনাৎ জয়াসুরিয়া মিছিলে যোগ দিলেন। এমনই কঠিন পরিস্থিতিতে সে দেশটিতে এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে প্রচন্ড আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের একটি সূত্র থেকে পাওয়া অনুযায়ী, এসিসির কর্মকর্তারা প্রতিদিনিই যোগাযোগ রাখছেন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে। তবে লঙ্কান কর্তৃারা এখনও এশিয়া কাপ আয়োজনে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে এসিসির কাছে।

সূত্রের ভাষ্য মতে, ‘এখন যে অবস্থা, তাতে সত্যিই বলা কঠিন যে তারা এশিয়া কাপ আয়োজন করতে পারবে। আমি যতটুকু জানি তারা এই ইস্যু নিয়ে আশাবাদী এবং খুব ইতিবাচক। সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখনো সময় হাতে আছে কিন্তু একই সঙ্গে প্রটোকল অনুযায়ী এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে তাদের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।’

এই শেষ সময় হলো ২৭ জুলাই বলে ওই সূত্র জানান। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড অপারগতা প্রকাশ করলে অন্য কোথাও তা সরানোর পরিকল্পনা আছে এসিসির।

বিসিবির এক শীষ পরিচালক বলেছেন, আমরা লঙ্কান পরিস্থিতি ফলো করছি নিয়মিতই। আমরা এসিসির সঙ্গেও কথা বলেছি এবং যোগাযোগ রাখছি। ২৭ জুলাই পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব। যদি লঙ্কা ‘না’ বলে দেয় তাহলে বাংলাদেশ এশিয়া কাপ আয়োজনে প্রস্তুত আছে।’

উল্লেখ, এশিয়া কাপ ২০২০ সালে শ্রীলঙ্কার আয়োজন করার কথা। কিন্তু করোনার কারণে দুইবার তা স্থগিত হয়। ২০২৩ সালের আসরটি হবে পাকিস্তানে।