গাজীপুরে শিশু সন্তানকে ফিরিয়ে দেওয়ায় ওই শিশুর মা গার্মেন্টস কর্মীসহ দুইজন পৃথক ঘটনায় আত্মহত্যা করেছে। রবিবার পুলিশ নিহতদের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। নিহতরা হলেন- ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানাধীন ছাতুগাঁও এলাকার সায়েদুলের স্ত্রী ও লিয়াকত আলীর মেয়ে মোসা. লাকী (২১) এবং গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন ভুরুলিয়া মোল্লাপাড়া এলাকার মৃত নান্নু মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম (৪৫)।
জিএমপি’র গাছা থানার এসআই মোঃ মমিনুল ইসলাম ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন কুনিয়া উত্তরপাড়া এলাকার ভাড়া বাসায় স্বামী সন্তান নিয়ে থাকতেন লাকী। তিনি স্থানীয় টিআরজেড পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকুরি করতেন। গত ১৪ এপ্রিল পারিবারিক বিরোধের কারণে লাকীর সঙ্গে তার স্বামীর ঝগড়া হয়। এর জেরে ওইদিন কাউকে না জানিয়ে দুই বছরের শিশু সন্তান লিজানকে নিয়ে সায়েদুল বাসা থেকে চলে যায়। এ ঘটনার পর লাকী তার শিশু সন্তানকে ফেরত দেওয়ার জন্য স্বামীকে একাধিকবার অনুরোধ জানালেও শিশুটিকে ফেরত দেওয়া হয়নি। এনিয়ে রবিবার দুপুরে স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে মোবাইল ফোনে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে লাকী ঘরে ঢুকে দরজা আটকিয়ে দেয়। দীর্ঘক্ষণ সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলা ওড়না পেঁচানো অবস্থায় লাকীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
জিএমপি’র সদর থানার এসআই তুহিন মিয়া ও স্থানীয়রা জানান, দুই সন্তানের জনক নজরুল ইসলাম মাদকাসক্ত ছিলেন। রবিবার সকালে মাদক সেবনের জন্য সে তার স্ত্রী পারভীনের কাছে পাঁচশত টাকা চায়। টাকা দিতে অস্বীকার করায় নজরুল ক্ষুব্ধ হয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে দরজা আটকে দেয়। এর কিছু সময় পর বড় ছেলেকে নিয়ে পারভীন ঘরে ঢুকে আড়ার সঙ্গে গলায় রশি পেঁচানো নজরুলের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। নেশার টাকা যোগাতে সে এলাকায় প্রায়শঃ চুরি ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতো। কয়েকদিন আগে মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েক যুবক তাকে মারধর করে।
উভয় ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।