জহির ভূইয়া
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের সুপার সিক্স নিশ্চিত হয়ে গেছে। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ দল। সুপার লীগের লাইন আপ এখন চূড়ান্ত হয়েছে। শেখ জামাল, লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ, আবাহনী, প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব, রূপগঞ্জ টাইগার ক্রিকেট ক্লাব ও গাজী গ্রুপ।
কিন্তু সুপার সিক্স-এ কোন দল চ্যাম্পিয়ন হবে সেটা আপাতত পরের প্রসঙ্গ। কিন্তু জাতীয় দলে জায়গা পাবার অন্যতম সিঁড়ি হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেট লীগ। লীগের প্রথম পর্ব শেষ। বিসিবির নির্বাচকরা অবশ্যই লীগে চোঁখ রেখেছেন সেরা ব্যাটসম্যান আর বোলাদের দিকে।
এবারের আসরে সেরা ব্যাটসম্যানের তালিকায় আছেন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া ওপেনার এনামুল হক বিজয় আর ছক্কা নাইম খ্যাত নাইম ইসলাম। অপর দিকে বোলার হিসাবে সেরার তালিকায় স্পিনার রকিবুল হাসান, পেসার মাসুম খান ও কাজী ওনিক। জাতীয় দলের কড়া নাড়ছেন বিজয় আর নাইম। এনামুল ৩ বছর পর জাতীয় দলে কড়া নাড়ছেন, কিন্ত সবচেয়ে নজর কাড়া বিষয় হলো প্রায় সাড়ে ৭ বছর পর নাইম আবারো কি ফিরছেন টাইগাদের ওডিআই দলে?
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড গত সপ্তাহে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব এবং গাজী গ্রুপের ক্রিকেটার্সকে হারিয়ে কঠিন সময় পার করলেও ফর্মে থাকা দল শেখ জামালের কাছে হেরে বসে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে রূপগঞ্জ টাইগার্স এই মৌসুমে শীর্ষ ছয়ে জায়গা করে নিয়েছে।
আর সাদ-কালো শিবির খ্যাত মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব সুপার লিগের জায়গা থেকে বঞ্চিত হওয়াটাও বড় অঘটন। বিশেষ করে মোহামেডান আন্তর্জাতিক তারকাদেও নিয়ে দল গড়ার পরও ব্যর্থ হয়েছে। শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের পিচে বাউন্স না থাকায় মাহমুদউল্লাহ একজন গ্রাউন্ডসম্যানকে ধাক্কা দিলে এবং পরে ড্রেসিংরুমে কাচের দরজায় লাথি মারাটা নাটকীয় দৃশ্য ছিল।
লীগে সেরা ব্যাটসম্যান
২০১৩ সালে টেস্ট অভিষেক, ২০১৪ সালের পর টেস্ট দল থেকে বাদ, ২০১২ সালে ওড্ইি অভিষেক আর ২০১৯ সাল পর্যন্ত ওডিআই দলে আসা যাওয়ার মধ্যে থাকা এনামুল হক নতুন করে আবার দৃষ্টি কেড়েছেন বিসিবির নির্বাচকদের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩৮ ওডিআই ম্যাচে ৩ সেঞ্চুরি আ ৩ ফিফটির মালিক এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান চলতি ঘরোয়া ক্রিকেট লীগে শীর্ষ ব্যাটসম্যানের তালিকায় আছেন।
প্রাইম ব্যাংকের এনামুল হক ডিপিএলের প্রথম পর্বে ১০ ম্যাচে করেছেন ৭২৮ রান। এরপরই আছেন রূপগঞ্জের কিংবদন্তি নাঈম ইসলাম ব্যাট হাতে ৭০০ রান জমা করেছেন তিনি। নাইম ৫ টেস্ট, ৫৯ ওডিআই আর ১০টি টি২০ ম্যাচে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে পড়েছেন। ২০১২ সাল টেস্ট দল থেকে আর ২০১৪ সালে ফতুল্লার উইকেটে আফগানদের বিপক্ষে শেষ ওডিআই খেলেছেন। ওডিআই ক্যারিয়ারে ৫টি সেঞ্চুরিরও মালিক তিনি। এরপরের সর্বোচ্চ তালিকায় আছেন জাকির হাসানের ৪৮৭, এই তিন ব্যাটসম্যানই লীগে দুটি করে সেঞ্চুরি করে।
এছাড়া ২০ বছর বয়সী অমিত হাসান ৫৮.১২ গড়ে ৪৬৫ রানে দুর্দান্ত ছিলেন, যার মধ্যে তিনটি হাফ সেঞ্চুরি এবং একটি সেঞ্চুরি রয়েছে। তবে তার দল, খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি, পয়েন্ট টেবিলের নীচে থেকে প্রথম পর্ব শেষ করেছে। রূপগঞ্জের চেরাগ জনি বিদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। তিনি ৪৮.৩৩ গড়ে ৪৩৫ রান করেছেন এবং সিকান্দার রাজার ৪৭.২২ গড়ে ৪২৫ রান করেছেন। দুজনেই একটি করে সেঞ্চুরি করেন।
লীগে সেরা বোলার
ধানমন্ডির পারভেজ রসুল আবাহনীর বিপক্ষে পাঁচ উইকেট সহ ১৩.২৫ গড়ে ২০ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন। প্রথম পর্বে সেরা অলরাউন্ডার ছিলেন, কারণ তিনি তার ৪৩৫ রানের সাথে ১৮ উইকেট নিয়েছেন।
তরুণ বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসান, প্রাইম ব্যাংকের হয়ে খেলে ২২.৩৬ গড়ে এ ১৯ উইকেট নেন, ফাস্ট বোলারদের মধ্যে মাসুম খান এবং কাজী ওনিক ১৭টি করে উইকেট নেন তালিকায় রয়েছেন।