খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা রুপেন্দ্র চাকমার বসত ঘর পুড়ে গিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তাঁর পরিবার। ১৫ এপ্রিল শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাটির দেওয়াল দিয়ে তৈরির ঘরটি সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়ে কোন কিছু অবশিষ্ট নেই। বর্তমানে রুপেন্দ্র চাকমার পরিবারটি একটি পাড়াকেন্দ্রে আশ্রয় নিলেও খুবই অভাব অনটনের মধ্যে দিন পার করছেন। বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে এ আগুনের সুত্রপাত বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

রুপেন্দ্র চাকমা বলেন, সেদিন গ্রামের একজন মানুষ মারা যায়। সেই মারা যাওয়ার পরিবারের খোঁজখবর নিতে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে সেখানে যায়। এ সময় ঘরটি তালা লাগিয়ে ফাঁকা রেখে যান। এ ফাঁকে ঘরে আগুন ধরে গেলে গ্রামবাসী ঝাঁপিয়ে পড়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও ঘরটি বাঁচানো সম্ভব হয়নি। গায়ের কাপড়-চোপড় ছাড়া কোন কিছুই রক্ষা করতে পারেন নি। এতে তাঁর বাড়িতে থাকা নগদ টাকা. স্বর্ণালঙ্কার ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ কমপক্ষে ১০ লক্ষাধিক টাকা সমপরিমাণ ক্ষতি হয় বলে জানান তিনি।

মাইসছড়ি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শান্তশীল চাকমা জানান, রুপেন্দ্র চাকমার বসতঘরটি পুড়ে গিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পরিবারটি এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে । গ্রামবাসীরা কিছু হাড়ি-পাতিল ও চাউল উত্তোলন করে দিলেও তা পর্যাপ্ত নয়। চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষের যে উৎসব চাকমাদের ঐতিহ্যবাহি ”বিজু” হতেও বঞ্চিত হলেন পরিবারটি। সরকারি ও বেসরকারী সংস্থা থেকে এ অসহায় পরিবারটিকে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

মাইসছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সাজাই মারমা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক তবে, সহযোগিতা করার মতো ইউনিয়ন পরিষদে আর্থিক কোন ফান্ড নেই। যদি এর ভিতরে ইউনিয়ন পরিষদে কোন সুযোগ সুবিধা আসে তাহলে অবশ্যই সহযোগিতা দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গত ৯ এপ্রিল শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার ফাঁকে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুন ধরে রুপেন্দ্র চাকমা’র বসতঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

মিল্টন চাকমাকলিন, মহালছড়ি (খাগড়াছড়ি)