গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় একজন ৬ষ্ঠ শ্রেনির স্কুল ছাত্রী ন্যাক্কারজনকভাবে গণধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-০১, তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২২।
এরই ধারাবাহিকতায়, র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৮ এর অভিযানে গত ০৯ এপ্রিল ২০২২ তারিখ কোম্পানী অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লীডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম এবং সহকারী পরিচালক মোঃ রবিউল ইসলাম এর নেতৃত্বে ঢাকা জেলার শাহাবাগ হতে ১নং আসামি গোপাল বাড়ৈ (৩০),বরুন বালা (২৩), অটল বাড়ৈ (২২),প্লাবন বাড়ৈ(২৫), কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃতরা গণধর্ষণের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে ১০ এপ্রিল দুপর ২ ঘটিতকার সময় মাদারীপুর র্যাব-৮ ক্যােেম্পর কোম্পানী অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লীডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম সাংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান।
র্যার ৮৭ সুত্রে জানা যায়, গত ২৬শে মার্চ ২০২২ তারিখ রাতে ভূক্তভোগী গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ার পীড়ার বাড়ি মন্দির হইতে গান শুনে মামা বাড়ি যাওয়ার পথে গ্রেফতারকৃত আসামীরা উক্ত ভিকটিমের গলায় দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে মোটরসাইকেল যোগে অজ্ঞাত স্থানের একটি দোতলা ভবনে তুলে নিয়ে প্রথমে ভিকটিমকে নগ্ন করে ভিডিও করে। তারপর গ্রেফতারকৃত আসামীরা সবাই ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং নেশাজাতীয় কোন বস্তুু খাইয়ে দিয়ে সারারাত পালাক্রমে নির্যাতন করে। পরের দিন ১ নং আসামি গোপালের এক আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে যায় এবং উচ্চ স্পীকারে বক্স বাজিয়ে ০৩ (তিন) দিন ধরে পালাক্রমে আবারো ধর্ষন করে। এক পর্যায়ে ভিকটিম জানালা ভেঙ্গে পালিয়ে পাশের বাড়ি আশ্রয় নেয়। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
সাবরীন জেরীন,মাদারীপুর।