ক্রীড়া ডেস্ক :
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ২০০২ সাল থেকে টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ। কিন্তু আজ অবদি কোন টেস্ট পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জ পার্কের ভেন্যুতে খেলা হয়নি মমিনুলদের। আগের কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশের এই ভেন্যুতে।
যে কারণে এই ভেন্যুর উইকেট সম্পর্কেও টাইগাররা অজানা। বলা যায়, অভিজ্ঞতার ভান্ডার শুন্য নিয়ে অজানা-অচেনা এক ভেন্যুতে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে নামবে টাইগার বাহিনী।
কিন্তু এই ভেন্যুতে খেলতে নামার আগে শত বছরের টেস্ট ইতিহাসের পাতা থেকে কিছু পরিসংখ্যানের অবশ্যই তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারে টাইগার বাহিনীর সদস্যরা।
পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জ পার্কে টেস্টে রানের ব্যবধানে বড় জয় দক্ষিণ আফ্রিকার। ১৯৭০ সালে অস্ট্রেলিয়াকে ৩২৩ রানে হারিয়েছিলো প্রোটিয়ারা। উইকেটের ব্যবধানে বড় জয় ১০ উইকেটে। সেটি ইংল্যান্ডের। ইনিংসের ব্যবধানে বড় জয় অস্ট্রেলিয়ার। ১৯৫০ সালের টেস্টে ইনিংস ও ২৫৯ রানে জিতেছিলো অজিরা।
এই ভেন্যুতে সর্বোচ্চ রান অস্ট্রেলিয়ার। ১৯৫০ সালে টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৫৪৯ রান করেছিলো অসিরা। পরে ঐ ম্যাচটি ইনিংস ও ২৫৯ রানে জেতে তারা।
এই ভেন্যুতে সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যাবার লজ্জার রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার। ১৮৯৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিলো প্রোটিয়ারা। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে এটিই সর্বনিম্ন রান প্রোটিয়াদের। আর টেস্টে ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান এটি।
এই ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন জক ক্যালিস। ১০ ম্যাচের ১৯ ইনিংসে ৬টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৬১৭ রান করেছেন এই ডান-হাতি ব্যাটার। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস হার্শেল গিবসের। ২০০১ সালে ভারতের বিপক্ষে ৩৫৪ বলে ১৯৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
এখানে সর্বোচ্চ ২টি করে সেঞ্চুরি আছে পাঁচ ব্যাটারের। শন পোলক, ফাফ ডু প্লেসি, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ডিন এলগার ও হাশিম আমলা ২টি করে সেঞ্চুরি করেছেন।
সেন্ট জর্জ পার্কের সেরা বোলার অ্যালান ডোনাল্ড। যিনি বর্তমানে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ। ৭ ম্যাচের ১৪ ইনিংসে ৪০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তাই ডোনাল্ডের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশের পেসাররা যে উপকৃত হবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। ইনিংসে সবচেয়ে বেশি পাঁচ উইকেটও ডোনাল্ডের। ৩বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেন তিনি। একবার ম্যাচে ১০ উইকেটও নেন ডোনাল্ড।
তবে ইনিংসে সেরা বোলিং ফিগার পেসার জর্জ আলফ্রেড লোহমানের। ১৮৯৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক ইনিংসে ৭ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ম্যাচে সেরা বোলিংও তার।
ঐ ম্যাচেই ৪৫ রানে সর্বমোট ১৫ উইকেট নিয়েছিলেন ১৯০১ সালে ৩৬ বছরে মারা যাওয়া লোহমান। তার মত এই ভেন্যুতে ম্যাচে ১০ উইকেট আছে- পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনিস, দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা ও ডোনাল্ডের।
এই ভেন্যুতে উইকেটরক্ষক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ডিসমিসাল মার্ক বাউচারের। ৭ ম্যাচের ১৪ ইনিংসে ২৫টি ডিসমিসাল আছে তার। ফিল্ডার হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ ক্যালিসের। ১০টি ক্যাচ নিয়েছেন তিনি।
সেরা জুটির রেকর্ড ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস ও ওলি পোপের। ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে ২০৩ রান করেছিলেন স্টোকস ও পোপ।
এখানে ৩১টি টেস্টে ১৩টি জয় আছে দক্ষিণ আফ্রিকার। হারও ১৩টি। ৫টি ম্যাচ ড্র হয়। এখানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট খেলেছে ইংল্যান্ড। তাদের ৬টি জয়, ১টি হার ও ৩টি ড্র ছিলো।