লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমজি মোস্তফাকে অনিয়ম তান্ত্রিকভাবে বরখাস্তের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ। বুধবার (৬ এপ্রিল) রাতে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কমনরুমে এ জরুরী সভায় ২৪ জন শিক্ষক-কর্মচারীর স্বাক্ষরিত রেজুলেশন মোতাবেক এ প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।
এসময় সিনিয়র সহকারী প্রধান শিক্ষক মাহাতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমজি মোস্তফাকে অনিয়ম তান্ত্রিকভাবে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে বিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নসহ শিক্ষকদের মর্যাদাহানী হয়েছে। ফলে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। এছাড়া আগামী তিন দিনের মধ্যে এ হঠকারী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে পরবর্তী ১০ ও ১১ই এপ্রিল শিক্ষক-কর্মচারীদের এক ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করা, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা উত্তোলন বন্ধসহ সকল দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়। সভায় স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক নুরল ইসলাম মিঠুল, নুহাশ চন্দ্র রায়, রতন কুমার সেন, রমজান আলী, মাহীদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেনসহ স্কুলের ২৪ জন শিক্ষক ও কামচারী সভায় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য- বুধবার দিনে হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমজি মোস্তফাকে সাময়িক বরখাস্ত করে সহকারী শিক্ষক আব্দুস সোবহানকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয় ঐ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী আলতাব হোসেন। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে নিউজ প্রকাশিত হলে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীগণের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
ঐ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী আলতাব হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, এবিষয়ে তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রধান শিক্ষক এমজি মোস্তফা বলেন, ঐ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির জটিলতা নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। এরপর দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড কিভাবে কাজী আলতাব হোসেনকে সভাপতির অনুমতি দিলেন এবিষয়ে তিনি কিছুই জানেননা এবং বোর্ড থেকে এখনও কোন পত্র পাননি। তাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপণ্ণ করার জন্য এবং বিদ্যালয়টি ধ্বংস করার জন্য একটি পক্ষের ইন্ধনে প্রতিপক্ষগণ নানানভাবে অপ্রচার চালাচ্ছেন।