প্রথম সিজনের দ্বিতীয় গান “প্রার্থনা” নিয়ে এলো কোক স্টুডিও বাংলা, কোকা-কোলার আন্তর্জাতিক সঙ্গীত আয়োজন কোকস্টুডিওর বাংলাদেশি সংস্করণ।গানটি পরিবেশন করেছেন মমতাজ বেগম এবং ওয়ারফেজ ব্যান্ডের সাবেক ভোকালিস্ট মিজান রহমান। এর সাথে আরো যুক্ত হয়েছে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মাইজভান্ডারী গান।

কোক স্টুডিও বাংলা-র প্রথম গান “নাসেক নাসেক” তুলে ধরেছিল হাজং জনগোষ্ঠীর গান।সেই গানের তুমুল সাফল্যের পর “প্রার্থনা” বন্দরনগরী চট্টগ্রামের মাইজভান্ডারী সুফি গানের ঐতিহ্য সবার সামনে নিয়ে আসতে চায়। এর পাশাপাশি, এই গানটি করতাল নামক বাদ্যযন্ত্রের সাথেও দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দিতে চায়।প্রাচীন এই বাদ্যযন্ত্রটি প্রধানত লোকগীতি বা ভক্তিমূলক গানের সাথে বাজানো হয়ে থাকে। আধ্যাত্মিকতার প্রশংসা প্রকাশ পেয়েছে “প্রার্থনা” নামের গানটির মাধ্যমে। “আল্লাহ মেঘ দে”- এর গীতিকার ও সুরকার হলেন গিরীন চক্রবর্তী এবং কবিয়াল রমেশ শীল (মাইজভান্ডারী) ছিলেন “বাবামাওলানা” —এরগীতিকার ও সুরকার। দু’টি গানের চমৎকার ফিউশনে এই গানটি তৈরি করা হয়েছে।

কিংবদন্তী সঙ্গীত শিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম বলেন, “আল্লাহ মেঘ দে”-এর মতো একটি আইকনিক/সুপরিচিত গান নিয়ে কাজ করতে পারাটা আমার জন্য দারুণ সম্মানের। কোকস্টুডিও বাংলা-র বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে এমন একটি চমৎকার গান উপস্থাপন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আশাকরছি, গানটি তৈরি করার সময় আমরা যে আনন্দ পেয়েছি, সে আনন্দ আমাদের দর্শক-শ্রোতারাও উপভোগ করবেন।”
কোকস্টুডিও বাংলা-র সঙ্গীত প্রযোজক শায়ানচৌধুরী অর্ণববলেন, “সঙ্গীত প্রযোজক আর সুরকার হিসেবে, গান ও শিল্পীদের খুঁজে বের করে তাদের একত্রিত করাই আমার কাজ। সবাই মিলে একসাথে কাজ করার জন্য আমার একটা ইতিবাচক সুযোগ তৈরি করা প্রয়োজন। আমরা সবাই বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্নভাবে বেড়ে উঠেছি, আমাদের গানের যাত্রাটাও ছিল আলাদা। তাই আমি চেষ্টা করেছি তাদের শেকড় থেকে তাদের আলাদা না করতে। বরং আমি তাদের মিউজিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড, তাদের শৈল্পিক বিশ্বাস, তাদের মুক্তচিন্তাকে গর্বের সাথে গ্রহণ করেছি। কারণ এভাবেই একটা পরিবেশনা স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে ওঠে। এভাবেই শুরু হয় ‘রিয়েল ম্যাজিক’।
পিকাসোর একটা কথা আছে — ‘রুচি সৃজনশীলতাকে ধ্বংস করে’, যা আমি শতভাগ বিশ্বাস করি! যদি আমরা কী আছে আর কী নেই তা নিয়ে চিন্তা করতে থাকি, বর্তমান ট্রেন্ড কী নিয়ে তা নিয়ে ভাবা শুরু করি, যদি কোনো মত বা গানকে তাদের উৎসের কথা চিন্তা করে খারিজ করে দিই, তাহলে আমরাই হেরে যাবো। সঙ্গীত অনেক ব্যাপক একটি বিষয়, সবারই এতে অংশগ্রহণ রয়েছে। ‘রিয়েল ম্যাজিক’ তৈরি করতে চাইলে খোলা মন নিয়ে, সব ঘরানার শিল্পীদের সাথে আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের অর্জন নিয়ে আমি সত্যিই অনেক খুশি। স্বাধীনভাবে নিজেদের মত, আবেগ আর অভিজ্ঞতা প্রকাশ করার মাধ্যমে সবাই মিলে কাজ করছি আমরা। সবচাইতে দারুণ ব্যাপারটা হচ্ছে আপনাদের সবার সাথে আনন্দটা ভাগ করে নিতে পারা।” “প্রার্থনা” মানুষের অন্তর্নিহিত শক্তির প্রতীক।সময়কে অতিক্রম করে ভক্তি কীভাবে নতুন ও পুরোনো প্রজন্মকে একত্রিত করতে পারে, এইগানে তা-ই প্রকাশ পেয়েছে।

কোকা-কোলা
বিগত পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে পৃথিবীকে চাঙ্গা করা ও সমাজে পরিবর্তন আনার উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে কোকা-কোলা বাংলাদেশ। আমাদের ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আছে কোকা-কোলা, ডায়েট কোক, স্প্রাইট, ফ্যান্টা, কিনলে ওয়াটার, কিনলে সোডা, কোকা-কোলা জিরো, স্প্রাইট জিরো ও থামস-আপ কারেন্ট। কোম্পানি-মালিকানাধীন বটলিং প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজেস প্রাইভেট লিমিটেড (আইবিপিএল) এবং দ্য কোকা-কোলা কোম্পানির (টিসিসিসি) স্বাধীন/স্বতন্ত্র, অনুমোদিত ফ্র্যাঞ্চাইজি বটলার আবদুল মোনেম লিমিটেড (এএমএল) নিয়ে কোকা-কোলা বাংলাদেশ সিস্টেম গঠিত। এই সিস্টেম বর্তমানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যথাক্রমে ৮০০ ও ২১,০০০ এর বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। সারা দেশের মানুষদের জন্য পানি, স্যানিটেশন, হাইজিন ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখা আমাদের লক্ষ্য। আমাদের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম “উইমেন বিজনেস সেন্টার” এর লক্ষ্য নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২০ সালের মধ্যে ১ লক্ষ নারীর ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। “ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েস্ট” গড়ার বৈশ্বিক প্রতিজ্ঞার অংশ হিসেবে গত ১০ বছর ধরে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কোস্টাল ক্লিনআপ প্রকল্পের গর্বিত অংশীদার কোকা-কোলা। এছাড়া, বারিন্দ অঞ্চলে পানির অপচয় রোধে আইডব্লিউইটি প্রকল্পে মিলিতভাবে কাজ করছে দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন (টিসিসিএফ)। টিসিসিএফ-এর সহায়তায় মহামারি চলাকালীন কমিউনিটিকে সাহায্য করছে কোম্পানিটি। যার মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৫০ লক্ষ লোকের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখা সম্ভব হয়েছে।