লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার পাটিকাপাড়া ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মইনুল হাসান রুবেল (৩৬) নামের এক গ্রাম পুলিশকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি সদস্যের ছেলে রাশেদ আলমের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (০১ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে উপজেলার পারুলিয়া বাজারের ভূমি অফিসের পাশে ঘটনা ঘটে। আহত গ্রাম পুলিশ বর্তমানে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।
এ ঘটনায় গ্রাম পুলিশ রুবেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
গ্রাম পুলিশকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত রাশেদ আলম উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য শামসুল হকের ছেলে। আহত ওই গ্রাম পুলিশ রুবেল উপজেলার একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
জানা গেছে, শুক্রবার রাতে পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ও পারুলিয়া বাজারে ডিউটি করছিলেন গ্রাম পুলিশ রুবেল। এ সময় তিনি পারুলিয়া বাজারের ভূমি অফিস চত্বরে বসে মোবাইল চালাচ্ছিলেন। সেখানে হঠাৎ রাশেদ এসে গ্রাম পুলিশ রুবেলকে ওসমান চেয়ারম্যানের চকিদার বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে। এসময় রুবেল তাকে বলেন, ‘হ্যাঁ আমি ওসমান চেয়ারম্যানের আলমে চৌকিদারের চাকরি পাই। আর সে সময় তোমার বাবা-মাও তাকে ভোট দিয়েছিলো বলেই ওসমান চেয়ারম্যান ভোটে জিতেছিলো। এ কথার সাথে সাথে রাশেদ রুবেলকে অতর্কিতে মারধর করে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত রাশেদ আলম বলেন, ‘আমি তাকে মারধর করিনি। একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে মাত্র।’
পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুল আলম সাদাত বলেন, ‘আমি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আছি। বিষয়টি শুনেছি। তারা নিজেরাই মীমাংসা করে নিয়েছে বলে শুনেছি।’
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাঈম হাসান নয়ন বলেন, আহত ওই গ্রাম পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ছাড়া তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।