রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে হত্যা করা হয় ২০১৩ সালে মিল্কী খুনের প্রতিশোধ নিতে। টিপুর হত্যাকারীদের সন্দেহ মিল্কী খুনের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন। টিপুকে হত্যার জন্য ১৫ লাখ টাকা বাজেট করেন পরিকল্পনাকারীরা। আন্ডার ওয়ার্ল্ড ডন মুসার ওপর দায়িত্ব আসে টিপুকে হত্যার। ঘটনার ১২ দিন আগে মুসা দুবাই চলে যান। সেখানে বসে তিনি কিলার নিয়োগ করা থেকে শুরু করে হত্যার পরিকল্পনা করেন। আজ শনিবার দুপুরে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
র্যাব জানিয়েছে, টিপু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডও আছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ওমর ফারুক, আবু সালেহ শিকদার, নাছির উদ্দিন ও মোরশেদুল আলম।
র্যাব জানায়, ২০১৩ সালে রাজধানীর গুলশান শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে মিল্কী হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা মিল্কীর সহযোগী ছিলেন। এ ঘটনার সঙ্গে টিপু জড়িত ছিলেন বলে গ্রেপ্তারকৃতরা সন্দেহ করতেন। তখন মিল্কী হত্যায় যে মামলা করা হয়েছিল সেখানে এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন টিপু। কিন্তু বিচারিক কার্যক্রমে তার নাম বাদ পড়ে, যা গ্রেপ্তারকৃতদের মনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
র্যাব আরও জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ভিকটিম ও হত্যার পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে বিরোধ ছিল। মতিঝিল এলাকার চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, স্কুল-কলেজের ভর্তি বাণিজ্য, বাজার নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তার নিয়েও তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছিল। আর এসব দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করেই টিপুকে হত্যা করা হয়।
গত ২৪ মার্চ রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে বাড়ি ফেরার পথে শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা টিপুকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে টিপু ও তার গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় টিপুর গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী প্রীতিও গুলিবিদ্ধ হন। তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন।