ক্রীড়া ডেস্ক :

পাকিস্তানের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওডিআই সিরিজ। বিশ্ব ক্রিকেটের নজরটা সেদিকেই থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশ সময়ে বৃহস্পতিবার রাতে শুরু হয় পাক-অসি দ্বিতীয় ওডিআই। যা ছিল পাক ক্রিকেট দলের জন্য নিজ মাটিতে সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। কারণ সিরিজের প্রথম ম্যাচে লাহোরের উইকেটে পাকিস্তান ৮৮ রানের বিশাল হার হজম করেছে। তাই এই ম্যাচে স্বাগতিকদের জয়ের কোন বিকল্প ছিল না। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার করা ৩৪৮ রানের পেছনে তাড়া করাটিাও ছিল কঠিন মিশন। তবে সেটা পাকিস্তান বেশ ভাল ভাবেই করেছে। ৩৪৯ রানের কঠিন মিশনে শেষ ৬০ বলে ৭০ রান, ৩০ বলে ৩৬ আর ১৪ বলে ১৪ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। ছেলে-খেলো খেলেই ৬ বল না খেলেই জয় তুলে নেয় ৬ উইকেটে।

ফাকার জামানের ফিফটি (৬৭), ইমাম  (১০৬) আর বাবর আজম (১১৪), এক ফিফটি আর জোড়া সেঞ্চুরিতে পাকিস্তান জয় আসে। ১-১ ব্যবধাসে সিরিজে সমতা, ২ এপ্রিল সিরিজে অঘোষিত ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ওডিআই ম্যাচে।

৩৪৯ রানের মিশনে লাহোরের ২২ গজি উইকেটে পাক ওপেনার ফাকার জামান ৬৭ রানে বোল্ড হলেন। ১৮.৫ ওভারে পাকিস্তানের দলীয় স্কোর ১১৮ রান। এরপর আরেক ওপেনার  ইমাম উল-হবের সঙ্গে ব্যাট হাতে লড়াই করলেন বাবর আজম।  ৩০ ওভার শেষে স্কোর ২০৫/১, ২০ ওভারে জয় পেতে দরকার ১৪৪ রান।

৩২ ওভার শেষ করে এই জুটি পাক দলর স্কোর টেনে নেন ২১৫ রানে। তাতে ইমামের ছিল ৯০ বলে শতকের ইনিংস, ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা দিয়ে সাঁজানো। এটা ছিল ইমামের ৯ম ওডিআই শতক। অন্য দিকে বাবর আজমের নামের পাশে তখন ছিল ৪৭ রান। জমজমাট লড়াই যাকে বলে সেটাই ছিল এ ম্যাচে।

১০৬ রান করে ইমাম সাঁজ ঘড়ে ফেরত গেলে লড়াই আরো জমে উঠে। ইমামের পর ক্রিজে এলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। বাবর আজম তখন ৬৪ বলে ৯১ রানে সেঞ্চুরির পথে। ৪০ ওভার শেষে পাকদের নামের পাশে স্কোর বোর্ডে ২৭৯/২ উইকেট। শেষ ১০ ওভারে ৬০ বলে জয় পেতে দরকার ৭০ রান। হাতে ছিল ৮ উইকেট। বিশেষ কিছু ঘটানো ছাড়া অসিদের জয়টা ছিল অসম্ভব। ৪৫ শেষে পাকিস্তান জয় থেকে খুব বেশি দূরে নেই, তখন বাবর আজম ৭৩ বলে ক্যারিয়ারের ১৫তম ওডিআই সেঞ্চুরিটা স্পর্শ  করলেন। ১৪টি রান আরো যোগ করে ব্যক্তিগত ১১৪ রানের করে দলকে ৩০৯ রানে পৌছে দিয়ে ক্যাচ তুলে ফেরত গেলেন। রিজওয়ান তখন ২২ বলে ২০ রানে ক্রিজে,  সঙ্গী পেলেন খুশদিল শাহ্‌কে। ৪৫ ওভারে শেষে স্কোর ৩১৩/৩, ৩০ বলে ৩৬ রানে মিশন। রিজওয়ানের আউটের পর স্কোর দাঁড়ায় ৩১৭/৪, শেষ দিকে ৬ বল না খেলেই পাকিস্তান ৩৪৯ রানে পৌছে যায়।

এর আগে টস হেরে অতিথি অস্ট্রেলিয়া ব্যাট হাতে ক্রিজে নেমেই অধিনায়ক ও ওপেনার এ্যারোন ফিঞ্জকে শূণ্য রানে হারিয়ে চাপে পড়ে। কিন্তু অপর ওপেনার  ট্রেভিস আর বেন জুটি অসিদের ১৬৩ পর্যন্ত। তাতে ছিল ট্রেভিসের ৭০ বলে ৮৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। এর চেয়ে বেশি ছিল ট্রেভিসের ইনিংসে আগুনের তাপ, ১০৮ বলে ১০৪ রানের মারকুটি ইনিংস।

মিডল অর্ডারে মারনুস ৪৯ বলে ৫৯ রান, মারকুস ৩৩ বলে ৪৯ অসিদের ৪০.২ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ২৭২ রানে নিয়ে যায়। শেষ দিকে এ্যাবোট্ট ১৬ বলে ২৮ রান সফলকারীদের ৫০ ওভারে ৩৪৮ রানে পৌছে দেয়।

উল্লেখ, এটা ছিল দুই দলের মধ্যে ১০৬ তম ওডিআই যুদ্ধ। এতে এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। আগের ১০৫টি লড়াইতে অসিরা জিতেছে ৬৯টি ম্যাচে, পাকিস্তান মাত্র ২২টিতে, আর কোন ফলাফল হয়নি ৩ ম্যাচে।