ক্রীড়া ডেস্ক :
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল সিরিজের সবচেয়ে কঠিন মিশন শুরু করেছে। ডারবানে আজ সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচে টস জিতে বল হাতে তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানায়। তবে শুরুটা অতিথি টাইগার বাহিনীর ভাল ছিল না। দুই ওপেনার দলীয় রান শতকের কোটা পার করে দেন। পানি বিরতিতে যাবার আগে বাংলাদেশের পেসার খালেদ ও মিরাজ দুই ওপেনারকে সাাঁজ ঘরে ফেরত পাঠালে চাপে পড়ে স্বাগতিক দল। আর দিন শেষে আফ্রিকানদের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ২৩৩ রান। কাল দ্বিতীয় দিনের সফলতার উপর সব কিছু নির্ভর করছে। স্বাগতিকরা যদি লম্বা ইনিংস খেলতে পারে তাহলে টাইগাররা রানের পাহাড়ে চাপে পড়বে। অন্য দিকে যদি দ্রুত শেষ উইকেট গুলো তুলে নিতে সফল হয় বোলাররা তাহলে এই টেস্ট অন্য রকম হতে পারে। তাই আপাতত এই টেস্টে কোন দলই এখন চালকের আসনে নেই।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এ যাবত কালে বলার মতো কোন টেস্ট ইতিহাস টাইগারদের নেই। ২০০২ থেকে এ যাবত কালে মোট ১২টি টেস্ট খেলা বাংলাদেশ হেরেছে ১০টিতে আর নিজেদের মাটিতে (চট্টগ্রমের উইকেটে) ড্র করছে ২ টেস্টে। সে কথাই আজ ডারবানের উইকেটে মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন অধিনায়ক ড্যান আর স্যারিল জুটি।
আজ দুপুরে ডারবানের উইকেটে টস জিতে বাংলাদেশ বল হাতে তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে নতুন কিছু একটা উপস্থাপন করতে বদ্ধ পরিকর ছিল। কাল দ্বিতীয় দিনের উপর সব কিছু নির্ভর করে। স্বাগতিকদের ওপেনিং জুটিতে ২২ গজি উইকেটে ব্যাট হাতে নামা অধিনায়ক ড্যান আর স্যারিল ধীর গতিতেই এগিয়ে চলেছে। অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসা ১২ রানে সঙ্গে স্যারিল ৫ম ওভার পর্যন্ত কোন রান যোগ যোগ করতে পারেননি। বাংলাদেশ দলের বেলিং আক্রমনের দায়িত্ব পালনে ঘাম ঝড়াচ্ছেন পেসার তাসিকন আহমেদ ও এবাদত হোসেন।
দুই ওপেনার দেখে শুনে খেলে চলছিলেন লম্বা ইনিংসের পথে। দলীয় রান ১১৩ অবদি কোন সমস্যাই হয়নি। অধিনাকয়ক ড্যান ৬৭ আর স্যারিলের ৪১ ব্যক্তিগত সংগ্রহ সে কথারই জানান দিচ্ছিল। কিন্তু বেরসিক টাইগার পেসার খালেদ অধিনায়ক ড্যানকে ৬৭ রানের মাথায় ক্যাচ দিতে বাধ্য করলেন। আর স্যারিল ৪১রানের পর মিরাজের স্পিন যাদুতে কাতহয়ে সরাসরি বোল্ড!
দুই উইকেটে স্বাগতিক দল যখন পানি বিরতিতে যায় তখন স্কোর বোর্ড এ লেখা ছিল ১৩২/২। এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে পিটার সেন ও টিম্বা জুটি ভালই খেলছিল। কিন্তু পিটার সেনকে স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ রান আউটে করে আবারো চাপে ফেলে স্বাগতিকদের। টিম্বারর সঙ্গী হলেন রিকিলটন। ব্যক্তিগত ২১ রানের পর রিকিলটনকে এবাদত হোসেন ক্যাচ দিতে বাধ্য করলেন মমিনুলের হাতে। ৪ উইকেটে পতনের পর ক্রিজে ছিলেন সেই টিম্বার আর নতুন সঙ্গী হলেন ক্যাইলি। ডারবান টেস্টের প্রথম দিনের শেষ অবদি এই জুটি বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ সামাল দিয়ে পার করলেন। দিন শেষে টিম্বারের নামের পাশে তাই তো লেখা ছিল অপরাজিত ৫৩ আর ক্যাইলির নামের পাশে অপারাজিত ২৭ রান। কাল টেস্টের দ্বিতীয় দিন এই জুটি কতটা পথ পাড়ি দেয় তার উপরই বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ভর করছে।