নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় নিখোঁজের একদিন পর দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের নাম মো.সিপাত হোসের (১৬ সে সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের কেরামতপুর গ্রামের কন্যার বাড়ির প্রবাসী আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে এবং স্থানীয় লর্ড লিওনার্ড চেশায়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার কেরামতপুর গ্রামের নিজ বাড়ির পুকুর থেকে ওই স্কুলের ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা।
চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনায়েত উল্যাহ মেম্বার নিহতের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে সিপাত নিখোঁজ ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে তাঁর পরিবার থেকে কাউকে কিছু জানানো হয়নি। শুক্রবার ভোররাতে সিপাতের মা ফজরের নামাজ পড়তে উঠলে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বসত ঘরের পাশে থাকা পুকুরে তাঁর ছেলের মরদেহ ভাসতে দেখে। ওই সময় তাঁর শৌর চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে এসে পুকুর থেকে তাঁর ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে।
চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনায়েত উল্যাহ মেম্বার আরও জানান, আমি সিপাতের মায়ের সাথে কথা বলেছি। তিনি আমাকে জানান তাঁর ছেলের ছ্যাইয়া রোগে (মৃগীরোগে) আক্রান্ত ছিল। কিন্তু স্থানীয়রা জানান সিপাত এমন রোগে আক্রান্ত ছিল বলে তাদের জানা ছিলনা। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য এলাকাবাসী বিষয়টি খতিয়ে দেখে ময়নাতদন্ত করার দাবি করেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
চরজব্বর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আবু হাসনাত ঘটনাস্থল থেকে জানান,খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। নিহতের স্বজনদের ভাষ্য, সে মৃগীরোগে আক্রান্ত ছিল। মরদেহ থানায় নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। সেখান থেকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
এসআই আবু হাসনাত আরও জানান,বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
মোহাম্মদ ছানা উল্যাহ
নোয়াখালী প্রতিনিধি