বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কুরমনি এলাকায় চিতলমরী দারুল উলুম মাদ্রাসার জায়গাব্যাক্তি মালিকানায় দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর বরাবর ডিপি ৩১০নং খতিয়ানে রেকর্ড ৪২(ক) সংশোধনের একটি লিখিত অভিযাগ দায়ের করেছেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে খুলনা জোনাল সেটলমেন্ট অফিসার কালাচাঁদ সিংহ বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

লিখিত অভিযোগে জানাযায়, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুরমনি এলাকায় প্রায় ৪ একর জায়গার উপর অবস্থিত প্রায় শত বছরের ঐতিহ্যবাহি চিতলমারী দারুল উলুম মাদ্রাসা, একটি জামে মসজিদ, ঈদগাহ ,একটি এতিমখানা ও কবর স্থান। ১৯০৯ সালে বরিশালের সম্ভান্ত পরিবারের সামছুন্নেছা খাতুন চৌধুরানী ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারের স্বার্থে এই জায়দা দান করেন। এরপর থেকে ওই জায়গায় মাদ্রাসা, মসজিদ, এতিমখানা ও ঈদগাহ হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু চিতলমারী উপজেলার আড়–য়াবর্নি গ্রামের বাসিন্দা গগন মল্লিকের ছেলে সিরাজুল হক মল্লিক ১৯৮৫ সালের ২২২১ ও ২১৫৯ নং দুইটা দলিল দেখাইয়া ওয়াকফ এস্টেট এর জায়গা দখল করিবার চেষ্টা চালালে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও জনগণ বাধা দেয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন আদালতে মামলা চললেও আদালত ওই দলিল বেআইনি ও অকার্যকর ঘোষনা করেন।
চিতলমারী দারুল উলুম মাদ্রাসার মোহতামেম মাওঃ আব্দুর রহমান বলেন, সিরাজুল হক মল্লিক দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে মাদ্রাসার এই জায়গা দখলের চেষ্টা চালিয়েছেন। তিনি মারা যাওয়ার পর তার মেয়ে সুলতানা মল্লিক ও তার লোকজন চেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রতিনিয়ত সুলতানা মল্লিক ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী ওই জায়গায় মহড়া দেওয়ার পাশাপাশি হুমকী-ধামকি দিয়ে আসচ্ছে, এটা নিয়ে নতুন করে স্থানীয় বাসিন্দা ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার খুলনা জোনাল সেটলমেন্ট অফিসার কালাচাঁদ সিংহ বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ বিষয়ে জোনাল সেটলমেন্ট অফিসার, খুলনা, কালাচাঁদ সিংহ বলেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে এ বিষয়ে আমি দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেব।
এ বিষয়ে সুলতানা মল্লিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

বাগেরহাট প্রতিনিধি