কিছু পরিবর্তন এনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ-সংক্রান্ত বিল চূড়ান্ত করেছে জাতীয় সংসদের আইন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি। আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে সুপারিশ করা হয়েছে- নৈতিক স্খলনজনিত কারণে সাজা হলে কেউ আর সিইসি বা ইসি হতে পারবেন না। কমিটির সভাপতি আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, স্বায়ত্তশাসিত ও পেশাজীবীরা সিইসি বা নির্বাচন কমিশনার হতে পারবেন বলে সংসদীয় কমিটি সুপারিশ করেছে।
শহীদুজ্জামান বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হওয়ার যোগ্যতা-অযোগ্যতার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রস্তাবিত বিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারের যোগ্যতা-অযোগ্যতার দফা ৬ এর (গ) উপ দফায় বলা হয়েছিল ‘‘নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন ২ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে তিনি সিইসি ও ইসি হওয়ার অযোগ্য হবেন।’’ এক্ষেত্রে কমিটি ২ বছর কথাটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে। এখন যে কোনো মেয়াদে সাজা হলেই একজন অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে দণ্ড বলতে কারাদণ্ড হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আরও একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে বিলে। বলা হয়েছে, স্বায়ত্তশাসিত ও পেশাজীবীদের (যারা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত) মধ্য থেকেও সিইসি ও ইসি হতে পারবেন। এটা আমরা যুক্ত করেছি এবং সকলে একমত হয়েছি।’
কমিটি সভাপতি আরও বলেন, ‘আশা করছি, আগামী বুধবার বিলটির চূড়ান্ত রিপোর্ট সংসদে উত্থাপন করতে পারব। বিল পাস হওয়ার বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয় দেখবে। তবে, আশা করছি রিপোর্ট উত্থাপনের পরদিনই পাস হবে বিলটি।’
উল্লেখ্য, এই বৈঠকে দুটি বিষয় বাদ দেওয়া হয়েছে। আগে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধের ক্ষেত্রে ২ বছরের যে বাধা ছিল, তা বাতিল করা হয়েছে। এখন যে কোনো মেয়াদে সাজা হলেই তিনি আর সিইসি বা ইসি হতে পারবেন না। আরেকটি হলো, স্বায়ত্তশাসিত ও পেশাজীবীদের থেকেও যে কেউ সিইসি-ইসি হতে পারবেন।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটি সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শামীম হায়দার পাটোয়ারি, বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।