গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বহু ত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে চলেছেন। তিনি দেশের প্রতিটি গ্রামকে শহরে উন্নীত করতে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চাই সুশাসন ও কাজ।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের গাজীপুর মহানগরকে আধুনিক ও পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ নগরীর গরীবদের জীবনমান উন্নয়ন করতে সাবসিডিয়ারী দিতে চাই। এজন্য প্রথম পর্যায়ে এক লাখ গরীব মানুষ যাদের দেড় হাজার বর্গফুট আকারের নীচে যাদের টিনের বা টিনসেড বা মাটির তৈরী ঘর রয়েছে তাদের ৫ বছরের কর মওকুফের জন্য গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও এ নগরীর উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, আমরা তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে চাই। আশাকরছি শীঘ্রই এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। গাজীপুরবাসী ভাল থাকলে পার্শ্ববর্তী রাজধানীর মানুষও ভাল থাকবে। সবাই মিলে কাজ করলে তা সম্ভব হবে এবং গাজীপুর শহরকে একটি সুন্দর ও উন্নত আধুনিক শহরে আমরা পরিনত করতে পারবো-ইনশায়াল্লাহ।
মঙ্গলবার তিনি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বোর্ডবাজারস্থিত গাছা আঞ্চলিক কার্যালয়ে উপস্থিত মহানগর আওয়ামীলীগের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
গাসিক মেয়র জাহাঙ্গীর মহানগর আওয়ামীলীগের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা চাই সুশাসন ও কাজ। ষড়যন্ত্রকারীদের কোন অপপ্রচারে কিছু আসে যায় না। মিথ্যা মিথ্যাই থাকবে, সত্যের জয় হবেই। আমাদের অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন, তিনি যে সিদ্ধান্ত দিবেন আমরা তারা মেনে নিব এবং কাজ করবো। গাড়ী-জ্বালাও-পোড়াও এবং সড়ক অবরোধ আওয়ামীগের কোনো কাজ নয়। কারো উসকানিমূলক কথায় কোনো ক্ষতি করা যাবে না। সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন- নগরের কোনো নাগরিক যেন হয়রানীর স্বীকার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। সেবা নিতে আসা কেউ যদি কারো বিরুদ্ধে কোনো হয়রানীর অভিযোগ তুলে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসময় মহানগর আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।