চলতি বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষাও হচ্ছে না। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) গণভবন উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের এমন তথ্যই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখন যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাতে আলাদা করে বোধ হয় জেএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ থাকছে না। মনে হয় না জেএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে অন্য শ্রেণির মতো অষ্টম শ্রেণিতেও শ্রেণি মূল্যায়ন হবে।
এ সময় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলবে। তবে সম্ভবত তাদেরও তাই (পরীক্ষা না নেওয়া) হবে।
প্রতিবছর নভেম্বর মাসে জেএসসি, জেডিসি ও পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে গত বছরও এই পরীক্ষা হয়নি। তখন পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীদের ওপরের শ্রেণিতে ওঠার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
করোনা মহামারিতে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ২০২০ সালের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হয়নি। গেল ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খোলায় এ বছরের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার কারণে এ বছরের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের থেকে জানা গেছে।
গত সোমবার এ বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করা হয়। প্রকাশিত সময়সূচি অনুসারে আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে এসএসসি ও সমমান এবং ২ ডিসেম্বর থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এই সূচি প্রকাশ করা হয়। এর আগে ১৪ নভেম্বর থেকে এবারের দাখিল পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষাও হচ্ছে না। স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েও বড় ধরনের অনিশ্চয়তা রয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সিলেবাস শেষ করতে পারবে না। তাই বছরের শেষ দিকে এ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া অষ্টম ও নবম শ্রেণির সপ্তাহে দুই দিন এবং অন্যান্য শ্রেণির সপ্তাহে এক দিন ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। তাই তাদেরও পরীক্ষা নেওয়াটা দুস্কর।