গাজীপুরের টঙ্গীতে দুই ভবনের মাঝে ফেলে রাখা এক নারীর লাশ বুধবার উদ্ধার করেছে পুলিশ। শাবনুর (২৫) নামের ওই নারীকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী ও দেবরকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো- ময়মনসিংহের কতোয়ালী থানার ছোয়ানিয়া এলাকার মৃত রজব আলীর ছেলে ও নিহতের স্বামী আব্দুস সাত্তার (৩৫) এবং একই এলাকার মৃত আইন উদ্দীনের ছেলে ও সাত্তারের ফুপাতো ভাই দুলাল উদ্দিন (৩৪)।
জিএমপি’র টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মোঃ শাহ আলম ও নিহতের স্বজনরা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন বড় দেওড়া মন্ডল মার্কেট এলাকার রেজোয়ান কবিরের বাড়ির ৫ম তলার মেসে ফুপাতো ভাই দুলাল উদ্দিনের সঙ্গে ভাড়া থাকেন আব্দুস সাত্তার। তিনি (সাত্তার) স্থানীয় এআরএস কারখানার ওয়াশিং শাখায় চাকুরি করেন। শাবনুর তার দ্বিতীয় স্ত্রী। মঙ্গলবার শাবনুরকে বাসা থেকে মেসে ডেকে নিয়ে যায় দুলাল। পরদিন বুধবার সকালে ওই মেসের পার্শ্ববর্তী দু’টি ভবনের মাঝের সরু জায়গায় শাবনুরের লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে শাবনুরকে তার স্বামী সাত্তার ও দেবর দুলাল খুন করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় সাত্তার ও দুলালকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।