জাপানি নাগরিক মা নাকানো এরিকো ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক বাবা শরীফ ইমরানের দুই সন্তান ১৫ দিনের জন্য রাজধানীর গুলশানের ভাড়াবাসায় উভয়ের সঙ্গেই থাকবে আদেশ হাইকোর্টের। তদারকি করবে সমাজ সেবা অধিদপ্তর। এর আগে দুই শিশুকে নিয়ে জাপানি নাগরিক মা নাকানো এরিকো ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক বাবা শরীফ ইমরানের অনড় অবস্থানের প্রেক্ষাপটে হাইকোর্ট বলেছেন, আপনারা একটু পজিটিভলি ভাবুন, আমরা চাই শিশু দুটি পারিবারিক পরিবেশে থাকুক।
এর আগে দুই জাপানি শিশু বাবার কাছে নাকি মায়ের কাছে থাকতে চান এ বিষয়ে শিশুদের সঙ্গে একান্তে কথা বলেছেন হাইকোর্ট। জাপানি শিশুদের নাম জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বিচারপতিদের খাস কামরায় শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন আদালত। শিশুদের সঙ্গে কথা শেষে আদালত উভয়পক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, আমরা চাই শিশুরা পারিবারিক পরিবেশে থাকুক। আপনারা সবাই পজেটিভলি দেখুন।
শুনানিতে শিশুদের বাবা ও মায়ের পক্ষের আইনজীবীরা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, জাপান দূতাবাস ও বাবার বাসার পরিবর্তে আবাসিক কোনো বাসা ভাড়া করে শিশুদের রাখতে সম্মত হন। যেখানে বাবা মা দু’জনই থাকতে পারবেন। তত্ত্বাবধানে থাকবেন একজন সমাজ সেবা কর্মকর্তা। পরে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য বেলা ৩টা নির্ধারণ করেন। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে শিশুদের জাপানি মায়ের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। বাবার পক্ষে আইনজীবী ফাওজিয়া করিম শুনানি করেন।
গত ২৩ আগস্ট দুই জাপানি শিশুকে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে উন্নত পরিবেশে রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ সময়ে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জাপানি মা ও বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাংলাদেশি বাবা শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন বলে নির্দেশ দেয়া হয়।
আদালত ওইদিন উভয়পক্ষের আইনজীবীদের ৩১ আগস্টের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করতে ভূমিকা রাখতে বলেছিলেন। তবে সোমবার (৩০ আগস্ট) রাত পর্যন্ত আইনজীবীদের উপস্থিতিতে কয়েক দফা বৈঠক করেও দুই পক্ষ কোনো সমঝোতায় আসতে পারেনি।