গত কয়েক দিন ধরে নেট দুনিয়ায় চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে একটি মিষ্টি চেহারার তরুণী মাইক্রোফোনের সামনে গান গাইছেন। সে গানের ভাষা অচেনা। তবে সুরে বুঁদ হয়ে গেছেন সবাই। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক সমস্ত সোশ্যাল সাইটে এখন গানটি নিয়ে আলোচনা। এটাই হয়ত সুরের শক্তি। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ‘মানিকে মাগে হিঠে’ গানটি দিয়ে অন্তর্জাল দুনিয়া জয় করা সেই তরুণী কে? গভীর চাহনী আর প্রাণ উজাড় করা হাসিতে যিনি মুগ্ধ করেছেন কোটি কোটি মানুষকে, তার আসল পরিচয়টা চলুন জেনে নেওয়া যাক…
এই গায়িকার আসল নাম ইয়োহানি ডি সিলভা। তিনি অনেক আগে থেকেই ইউটিউবে বেশ জনপ্রিয়। তার বয়স মাত্র ১৮ বছর। শ্রীলংকান এই তরুণী নিজেই গান লেখেন, সুর করেন। এছাড়া তার বাদ্যযন্ত্রের ব্যবসাও রয়েছে। বিদেশি বাদ্যযন্ত্র আমদানি করে শ্রীলংকায় বিক্রি করেন, আবার সেখানকার স্থানীয় বাদ্যযন্ত্র রফতানি করেন অন্য দেশে। শ্রীলংকায় ইয়োহানির জনপ্রিয়তা দারুণ। নিয়মিত স্টেজ শো করেন তিনি। এর আগে তার গাওয়া ‘ডেভিয়াঙ্গে বারে’ শিরোনামের একটি গান ভাইরাল হয়েছিল। এরপরই মূলত ইউটিউবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। আর চ্যানেলে রাতারাতি বেড়ে যায় সাবস্ক্রাইবার। এখন তাকে বলা হয় শ্রীলংকার ‘র্যাপ প্রিন্সেস’।
‘মানিকে মাগে হিঠে’ লাইনটির বাংলা অর্থ হলো ‘তুমি আমার চোখের মণি’। এই গান প্রথমে গেয়েছিলেন শ্রীলংকার আরেক র্যাপার সথীশন রাথনায়কা। এরপর গত মে মাসে ইয়োহানির কণ্ঠে পুনরায় রেকর্ড করা হয়।
অনেকের মতে, গানটির সুর যেমন শ্রোতাদের হৃদয় স্পর্শ করেছে, তেমনি গায়িকা ইয়োহানির রূপেও মেতেছে নেটিজেনরা। সুরের পাশাপাশি তার স্নিগ্ধ রূপের জাদুও গানটিকে জনপ্রিয় করতে সাহায্য করেছে। এদিকে গানটি ভাইরাল হওয়ার পর বলিউড থেকেও নাকি ইয়োহানিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি এখনই শ্রীলংকা ছেড়ে মুম্বাইতে আসছেন না। তিনি আপাতত র্যাপ গানেই মনোনিবেশ করতে চান।