বিমান নিয়ে মাঝ আকাশে হার্ট অ্যাটাক করা বিজি-২২ ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমকে ভারতের নাগপুরের হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতি দিকে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম-পিআর) তাহেরা খন্দকার এ তথ্য জানিয়েছেন।

এ ছাড়া ওই ফ্লাইটে থাকা ১২৪ জন যাত্রীকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে ভারত যাচ্ছে বিমানের ৮ সদস্যের উদ্ধারকারী দল। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে বিমানের শিডিউল ফ্লাইটের মাধ্যমে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দলকে নাগপুরে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে আজ রাতেই যাত্রীসহ বিজি-২২ ফ্লাইটটি ঢাকায় এসে পৌঁছবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

তাহেরা খন্দকার বলেন, ‘সকালে মাস্কট-ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শিডিউল ফ্লাইট বিজি-২২ মোট ১২৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসার পথে পাইলট হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন। এ সময় জরুরি অবতরণের জন্য কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা নিকটতম নাগপুর এয়ারপোর্টে অবতরণ করার পরামর্শ দেয়। সে অনুযায়ী ফ্লাইটটি নাগপুরে ড. বাবা সাহেব আম্বেদকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।’

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক আরও বলেন, ‘অবতরণের পর বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটির ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমকে হোপ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। বিমানের দিল্লি অফিসের কান্ট্রি ম্যানেজারকে জরুরিভিত্তিতে যাত্রী, ক্রু ও ফ্লাইটের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য নাগপুর প্রেরণ করা হয়েছে।’

ফ্লাইটের সব যাত্রী নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন তাহেরা খন্দকার। তিনি জানান, যাত্রীদের জন্য এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে খাবার ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে যাত্রীরা অপেক্ষা করছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসার কথা থাকলেও ওই ফ্লাইটটি ভোর সাড়ে ৬টায় ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। তবে ভারতের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় ফ্লাইটটি ঢাকার দিকে না এসে নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।