সারাদেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ১৪৩ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৯৯১ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ১৯৪ জন। মৃত ১২০ জনের মধ্যে পুরুষ ৬৯ জন ও ৫১ জন নারী।
শনিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ৬৬৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ৪২১ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭২৪টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩৩টি, জিন এক্সপার্ট ৫৩টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৫৩৮টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৩ হাজার ৪৯৩টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩ হাজার ৮৮২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮৬ লাখ ১৭ হাজার ৮২৮টি।
এতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯১ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৩ শতাংশ ০২ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১২০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৪০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৭ জন, রাজশাহী বিভাগে নয় জন, খুলনা বিভাগে ১৫ জন, বরিশাল বিভাগে তিন জন, সিলেট বিভাগে ১৩ জন, রংপুর বিভাগে সাত জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ছয় জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৯৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২২ জন এবং বাড়িতে এক জন মারা যান।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে চার জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৫০ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ২৪ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে এক জন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে দুই জন রয়েছেন।
এতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ১৩৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৮৮৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৫২ হাজার ৯৭৭ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ৮২ হাজার ৪৩৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৭০ হাজার ৫৪০ জন।