পাবনার চাটমোহরে অন্যের জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন যুবলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী জমির মালিক দাবিদার শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে চাটমোহর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর সড়কপাড়া গ্রামে।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম মথুরাপুর মৌজার ৭৮৮ নং দাগের ৪৪ শতাংশ জমির মালিক মথুরাপুরের শমসের আলী গং। যার আরএস দাগ সং ২১৩। ১৯৮৪ সালে এই জমি ক্রয় করার পর থেকেই শমসের আলী গং ভোগ দখল ও আবাদ বসত করে আসছেন।
এমন অবস্থায় জনৈক আবুল হোসেন এই জমিতে তার স্বত্ব আছে মর্মে আদারতে মামলা করেন। মামলায় প্রথম এক তরফা ডিক্রি নিলে জমির মালিক পক্ষ বিষয়টি জানার পর আপিল করেন। এছাড়া শসসের আলীর স্ত্রী সোনাভান ওরফে সাহিদা খাতুন দিং পাবনা জেলা যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ১৪১/২০২১।
মামলা চলমান থাকাবস্থায় জমির মালিকানা দাবিদার আবুল হোসেন গত ১১ আগস্ট উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজ ও সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম ছোটনের নেতৃত্বে শতাধিক ব্যক্তির মাধ্যমে জমি জবরদখল করেন। সেখানে হাফিজ, রবিউল ও মুকুল ক্রয়সূত্রে জমির মালিক দাবি করে ব্যানার টাঙিয়ে দিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, মথুরাপুর ইউনিয়নের এই জমি জবর দখলের চেষ্টা করছে মূলগ্রাম ইউনিয়ন যুবলীগের নেতারা। এই জমিতে তাদের ন্যূনতম কোন অধিকার নেই। কোন প্রকার কাগজপত্রও নেই। ক্ষমতার দাপটেই কেবল জমি জবর দখল করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মূলগ্রাম ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজের সাথে কথা বলার জন্য তার মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম ছোটন এ বিষয়ে বলেন, তারা এই জমি কেনার জন্য বায়নানামা সম্পাদন করেছেন। আবুল হোসেন এই জমির মালিক। আদালতে মামলা করার পর আদালত তার পক্ষে রায় দিয়েছে। জমির খাজনা-খারিজও করা হয়েছে। এখানে জবর দখলের কথা সত্য নয়।
অভিযোগকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার পিতা ও চাচার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে জবর দখলের অপচেষ্টা করছে তারা। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, দুই পক্ষই অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।