গাজীপুরে মাদকের টাকা আত্মসাৎ করতে এক ব্যক্তিকে খুন করেছে অপর মাদক ব্যবসায়ীরা। এ ঘটনায় জড়িত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার প্রায় ৪মাস পর এ খুনের রহস্য উম্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে নিহতের বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায় নি। মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুর পিবিআই’র পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- গাজীপুরের জয়দেবপুর থানাধীন কামারিয়া গ্রামের মৃত সা’দত আলী মোল্লার ছেলে শিমুল মোল্লা (৩০), একই গ্রামের মৃত রুস্তম খানের ছেলে শরীফ খান (২৮)।
গাজীপুর পিবিআই’র পুলিশ সুপার জানান, গত ২৯ মার্চ দুপুরে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানাধীন চিলনী এলাকার বিলে আলমগীর হোসেনের মাছের খামারে এক ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। তবে নিহতের পরিচয় জানা যায় নি। এ ঘটনায় পরদিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন এস আই ননী গোপাল সরকার। পরবর্তীতে ২ এপ্রিল পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর নির্দেশে চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস এ খুনের মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় গাজীপুরের পিবিআইকে। পিবিআই’র তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর এ কে এম রেজাউল করিম তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ ঘটনায় জড়িত শিমুল মোল্লা ও শরীফ খানকে গ্রেফতার করেন। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার শিমুল মোল্লা আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত নিহতের পরিচয় জানাতে পারেনি গ্রেফতারকৃতরা। তবে নিহতের পরিচয় উদ্ঘাটনের জোর চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো জানান, ঘটনায় জড়িত আসামীরা প্রত্যেকেই মাদক ব্যবসায়ী। এমনকি ভিকটিম নিজেও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। ভিকটিম প্রায়শঃ ইয়াবার চালান এনে ঘটনায় জড়িত আসামীদের নিকট পৌছিয়ে দিত। শিমুলসহ মামলার আসামীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভিকটিম ঘটনারদিন দেড় হাজার পিস ইয়াবা টেবলেটের চালান চট্রগ্রাম থেকে গাজীপুরের বাড়িয়া এলাকায় এনে পৌছে দেয়। এসময় শিমুল ও তার সহযোগীরা পূর্বের ইয়াবার পাওনা টাকা ও ঘটনার দিনের সরবরাহকৃত ইয়াবার টাকা না দেওয়ার উদ্দেশ্যে ভিকটিমকে মারধর করে এবং গলায় রশি পেঁচিয়ে শ^াসরোধে হত্যা করে। পরে লাশটি গুম করার জন্য প্লাষ্টিকের চট দিয়ে পেচিয়ে চিলনি বিলে মাছের খামারের পানিতে ডুবিয়ে দেয় বলে গ্রেফতারকৃত শিমুল জানিয়েছে।