করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের মধ্যে বিধি নিষেধ অমান্য করে খোলা রাখায় রবিবার গাজীপুরের দু’টি কারখানাসহ কয়েকটি ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড করেছে পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়াও মাস্ক বিহীন ঘুরাঘুরি করায় কয়েকজনকে অর্থদন্ড এবং মাদক দ্রব্য আইনে একজনকে তিন মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি নিষেধ অমান্য করে জেলার কয়েকটি স্থানে কারখানা ও দোকানপাট খোলা রাখা হয়েছে। রবিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট থান্দার কামরুজ্জামান ও আসিক-উর-রহমানের নেতৃত্বে দু’টি ভ্রাম্যমাণ আদালত যথাক্রমে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন নয়াপাড়া এলাকাস্থিত কটন ক্লাব বিডি লিমিটেড এবং একই এলাকার আলিম নীট বিডি লিমিটেড নামের দু’টি পোশাক কারখানায় পৃথক অভিযান চালায়। ওই কারখানা দু’টির বাহিরে তালাবদ্ধ করে ভিতরে ডায়িং সেকশনসহ কয়েকটি সেকশন চালু রেখে শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছিল। মাস্ক না পড়েই শ্রমিকরা কাজ করছিল। অভিযানকালে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কারখানা চালু রাখার অপরাধে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনে কটন ক্লাব বিডি লিমিটেড কারখানাটির মালিককে এক লাখ টাকা এবং আলিম নীট বিডি লিমিটেড কারখানার মালিককে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় আদালত কারখানাটির উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাফিস এলাহী জানান, সদর উপজেলার ভারারুল বটতলা এলাকা হতে ৩পিছ ইয়াবা টেবলেটসহ স্থানীয় মাজুখান পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত ভুলু মিয়ার ছেলে আবু তাহের ওরফে পলাশকে (৩৫) রবিবার দুপুরে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও একশ’ টাকা অর্থদন্ড করে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন।
এদিকে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উম্মে হাবিবা জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি নিষেধ অমান্য করে কাশিমপুর থানা এলাকায় মাস্ক বিহীন ঘোরাঘুরি করায় ৫ জনকে অর্থদন্ড করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন গলিতে দোকান খোলা রাখার অপরাধে কয়েক দোকানীকেও অর্থদন্ড করা হয়।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রবিার জেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ১৫ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এসময় মাস্ক বিহীন ঘুরাঘুরি করায় এবং মন্ত্রী পরিষদের জারিকৃত পরিপত্র অনুসরণ না করায় কিছু দোকানকে জরিমানা করা হয়। পৃথক অভিযানকালে এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত ২ লাখ ২৭ হাজার ৮শ’ টাকা অর্থদন্ড ও ৫৩টি মামলা দায়ের করেছে।