গাজীপুর থেকে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করে হয়েছে। রবিবার সকালে মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকায় তুসুকা ডেনিম লিমিটেড কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের করোনা টিকা প্রদানের মাধ্যমে এ টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। কেবলমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে তাৎক্ষণিক নিবন্ধনের মাধ্যমে এ টিকা নিচ্ছেন পোশাক শ্রমিকরা।
গাসিক মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর আলম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সকল পোশাক শ্রমিকদের এ টিকা দেয়ার এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এই বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। টিকা নিলেও সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। পর্যায়ক্রমে সকল গার্মেন্টসের শ্রমিকদের টিকা দেয়া হবে।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. খায়রুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ উত্তর) জাকির হাসান, বিজিএমই এর সভাপতি ফারুক হাসান, মার্কস এন্ড স্পেন্সারের হেড অব কান্ট্রি স্বপ্না ভৌমিক, কেয়ার বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর রমেশ সিং, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোঃ রহমতুল্লাহ্, তুসুকা ডেনিম লিমিটেডের ফিরোজ আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সিভিল সার্জন ডা. মোঃ খায়রুজ্জামান বলেন, কোভিড প্রতিরোধ করার জন্য কোভিডের ম্যানেজমেন্টের জন্য আমাদের (গাজীপুরে) টিকাদান কর্মসূচী ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এবং সেটা অব্যাহত আছে। সারাদেশে গার্মেন্টসসহ অন্যান্য কলকারখানার যে শ্রমিকরা আছে তাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা, আন্তরিকতায় ও তাঁর চেষ্টায় আমরা টিকাদান কর্মসূচীর আওতায় আনার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, আমাদের যে টিকাদান কর্মসূচী তা হসপিটাল বেইজড হয়। কিন্তু আপনারা দেখেন আমরা গার্মেন্টসে গার্মেন্টসে গিয়ে টিকা দিচ্ছি। এ কাজটি করতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমাদের যে টিম রয়েছে তাদেরকে প্রশিক্ষিত করেছি, ভ্যাক্সিনেটর আছে তাদের প্রশিক্ষিত করেছি। আমাদের সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ঈদের আগে আমরা যারা গার্মেন্টস শ্রমিক ভাই-বোনেরা আছে, তাদের একটা মেসেজ দিতে চাই, আমরা সবাইকেই টিকার আওতায় আনবো। এরই অংশ হিসেবে আজকে আমরা চারটি গার্মেন্টস্ টিকাদান কর্মসূচী শুরু করেছি। রবিবার ১২হাজার টিকা দেয়ার চেষ্টা করবো, যতক্ষণ এটা শেষ না হয় ততক্ষণ চলবে। সোমবার আটটি গার্মেন্টসের শ্রমিকদের টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করার ইচ্ছা আছে। পর্যায়ক্রমে সকল গার্মেন্টসকে টিকাদানের আওতায় আনা হবে। দেশে প্রচুর টিকা আছে। তারই অংশ হিসেবে আমাদের এ কার্যক্রম চলবে।
সিভিল সার্জন জানান, সরকারী সিদ্ধান্তে গাজীপুরে গার্মেন্টসের শ্রমিকদের করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে। এজন্য কারখানাগুলো থেকে তালিকা চাওয়া হয়েছিল। ২৫ লাখ শ্রমিকের তালিকা পাওয়া গেছে। রবিবার তুসুকা ডেনিম, তুসুকা ট্রাউজার, স্প্যারো এ্যাপারেলস ও রোজ ভ্যালী গার্মেন্টসের ১০ হাজার শ্রমিককে মর্ডানের টিকা দেয়া হচ্ছে।