নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জন শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় মালিকসহ আটজনের প্রত্যেককে ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। শনিবার (১০ জুলাই) বিকেলে শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট ফাহমিদা খানমের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, হাসেম, তার চার ছেলে হাসিব বিন হাসেম, তারেক ইব্রাহীম, তাওসীব ইব্রাহীম ও তানজীম ইব্রাহীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া সজীব গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহান শাহ আজাদ, হাসেম ফুড লিমিটেডের ডিজিএম মামুনুর রশিদ ও এডমিন প্রধান সালাউদ্দিন গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৫২ জনের পরিচয় জানতে ১ মাস সময় লাগতে পারে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের ডিএনএ পরীক্ষক মোহাম্মদ মাসুদ রাব্বী সবুজ এমন তথ্যই জানিয়েছেন। শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরে তিনি এ তথ্য জানান।
এদিকে, ট্রাজেডি’র দ্বিতীয় দিন চলছে আজ। শ্রমিকদের মরদেহগুলো এমনভাবে পুড়েছে যে- তাদের চেনার উপায় নেই। অধিকাংশের শরীরে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া মাংস আর হাড় ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি। চেনার উপায় নেই, কোনটি কার লাশ! যাকে যে অবস্থায় পাওয়া গেছে, সে অবস্থাতেই উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে কলেজের মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে। এদিকে স্বজনদের নিখোঁজ শ্রমিকদের মরদেহের খোঁজে মর্গের সামনে, এমনকি ট্রাজেডিস্থলে অশ্রুসিক্ত নয়নে বুকে ছবি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। মুখমণ্ডলসহ পুরো শরীর পুড়ে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় শনাক্তের উপায় না পেয়ে স্বজনের ডিএনএ টেস্ট করার পথে হাঁটছে ফরেনসিক বিভাগ। এমন পরিস্থিতিতে স্বজনরা বলছেন, প্রিয়জনের লাশের একটি টুকরাই সান্ত্বনা এনে দিতে পারে তাদের মনে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫২ জনের মরদেহ ভবনের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরই মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (৯ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস।