পাবনায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৩ জন, ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন মারা গেছে। এ সময়ে নুতন করে ১৭৭ জনের শরীরে করোনা সনাক্ত হয়েছে।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যানবীদ সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন, পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার খিদিরপুর গ্রামের আবুল কাশেমের স্ত্রী শম্পা খাতুন (৩০), চাটমোহরের শাহজাহান আলী (৮০), সুজানগরের চরদুলাই গ্রামের বাচ্চু মিয়া (৭০) ও জেলার ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলার বেরহাওলিয়া গ্রামের মৃত আহসান আলীর স্ত্রী রহিমা খাতুন (৭০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে আরও একজন।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক ডা. সালেহ মোহাম্মদ আলী বলেন, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ৩ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যাওয়া ব্যক্তিও করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের পরিসংখ্যানবিদ দেলোয়ারা খাতুন জানান, সূত্রে ২৪ ঘণ্টায় বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৯৫৩ জনের প্রাপ্ত ফলাফলে পজিটিভ এসেছে ১৭৭ জনের।
এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৯৫ জন। মারা গেছেন মোট ২৬ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৮০০ জন। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৮১২ জন।
পাবনার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কেএম আবু জাফর বলেন, জনসাধারণের মধ্যে পুরোপুরি সচেতনতা না আসা পর্যন্ত করোনা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। পুরাতন জেলা হলেও করোনা পরীক্ষার পিসিআর ল্যাব না থাকায় এ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ আক্রান্ত বা উপসর্গ দেখা দিলেও নির্ণয় থেকে পিছিয়ে আছে। এদিকে হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন চালু না হওয়ায় করোনায় সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে।