নওগাঁর রাণীনগরের আবাদপুকুর হাটে কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে বসেছিল সাপ্তাহিক পশুর হাট। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে হাটে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো। এ সময় ভয়ে গরু-ছাগল নিয়ে হাট থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান বিক্রেতারা। ইতিমধ্যেই উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের হার শতকরা ৭০শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহের বুধবার বিকেলে একদিন করে আবাদপুকুর হাটে পশুর হাট বসে। সেখানে নওগাঁসহ আশেপাশের কয়েকটি জেলা থেকে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ জমায়েত হয়। করোনা সংক্রমণ রোধে বর্তমানে সারাদেশে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হচ্ছে। আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে বুধবার বিকেলে আবাদপুকুর পশুর হাটে হাজারো মানুষের সমাগম হয়। হাটে আসা বেশির ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক ছিল না। স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই ছিল না। খবর পেয়ে বিকেলে পুলিশ নিয়ে হাটে উপস্থিত হন ইউএনও। এ সময় ভয়ে গরু-ছাগল নিয়ে হাট থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান বিক্রেতারা। এতে মুহূর্তেই হাট ফাঁকা হয়ে যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, আমরা যখন দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করে মানুষকে করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দিতে কঠোর লকডাউনকে সফল করার লক্ষ্যে মাঠে কাজ করছি এমন সময় নিয়ম ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পশুর হাট বসানো শোভনীয় নয়। বিধিনিষেধের মধ্যে অন্যান্য বাজার শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চললেও পশুর হাট বন্ধ রাখতে হবে। সরকারের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও প্রচার-প্রচারনা চালানো হচ্ছে। এরপরও সরকারের বেধে দেওয়া নিয়মের প্রতি যারা শ্রদ্ধাশীল হবেন না তাদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাই নির্দেশনা অমান্য করায় আবাদপুকুর হাটের ইজারাদারকে ২০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এমন অভিযান কঠোর লকডাউন চলাকালীন সময়ে অব্যাহত রাখা হবে বলেও তিনি জানান।