লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা এলাকায় সামান্য বৃষ্টিপাত হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিনের এ সমস্যা সমাধানে কেউ এগিয়ে না আসলে রাস্তার দুপাশ কেটে চলাচলের বাধ দিয়েছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, ঐ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের ৪-৫ নং ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী প্রাক্তন মহিলা সদস্য ফুলজান নেছা ও পার্শ্ববর্তী অটো চালক আঃ মতিনের বাড়ীর মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া কাকিনা চাপারতল থেকে পাঁচ মাথা বাজার হয়ে সুকানদিঘী যাতায়াতের এ রাস্তাটি পাঁকা হয়েছে। কিন্তু পাঁচ মাথা বাজারের মধ্য থেকে পূর্ব দিকে ৩-৪শ মিটার রাস্তাটি কাচা রয়ে যায়। সামান্য বৃষ্টিপাত হলে পানি জমে রাস্তার এ অংশটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে বললেও এবিষয়ে কেউ হস্তক্ষেপ করেনি। অপর দিকে ঐ দুই বাড়ীর লোকজন রাস্তার দুই পাশে আইল বেঁধে রাখেন যাতে উক্ত রাস্তাটিতে বৃষ্টির পানি নেমে যেতে না পারে।
এ রাস্তা দিয়ে বাজারের মানুষজন নামুড়ী বাজার হয়ে জেলা সদর লালমনিরহাট ও শিয়ালখাওয়া বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকেন।
এদিকে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি গড়িয়ে যাবার কোন ব্যবস্থা না থাকায় এ রাস্তাটিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ফলে উক্ত বাজারের যাতায়াতকারী পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। যাতায়াতে সৃষ্টি জলাবদ্ধতার কারণে মানুষকে পারি দিতে হয় বিপদ সিমার মধ্য দিয়ে।

দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তাটি অবহেলিত হয়ে পরে রয়েছে যা পরেনি কোন উর্ধতন কর্মকর্তার চোখে। একটু বৃষ্টি হলেই এলাকার মানুষ মনের ক্ষোভে ঐ রাস্তায় ধানের চারা লাগানো শুরু করে। চলাচলে বিভিন্ন ধরনের বিঘ্ন ঘটার কারণে আজ ১৬ ই জুন সকালে এলাকাবাসী মিলে রাস্তাটির দুই ধার কেটে নালা তৈরী করেছেন এবং উক্ত নালা হতে মাটি তুলে সরু একটি রাস্তায় পরিনত করেছেন যাতে শুধু মানুষ পায়ে হেটে চলাচল করতে সক্ষম হয়।

উক্ত রাস্তাটি দিয়ে কোন রিকশা ভ্যান চলাচল অসম্ভব হয়ে পরেছে, ইতিপূর্বে এ রাস্তাটি নিয়ে বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট বা নিউজ প্রকাশ হলেও হয়নি রাস্তাটির উন্নয়নমূলক কোন কাজ।

এলাকাবাসীর দাবী উক্ত রাস্তাটি সংস্কার হলে হয়তো তাদের দুর্ভোগের দিন শেষ হতো। এলাকার সকলেই মিলে এল জিইডি কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন, যেন উক্ত রাস্তাটির অসমাপ্ত কাঁচা অংশটুকু পাঁকা করে এলাকার জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেন।