নরসিংদীর আশরশিনগর পার্ক ও মিনি চিড়িয়াখানায় বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে অভৈধভাবে আটকে রাখা বিভিন্ন প্রজাতির ৩৮টি পাখি ও প্রজাতির প্রাণি উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। পরে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এসব বন্যপ্রাণি গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া প্রাণি ও পাখিগুলোর মধ্যে রয়েছে ১টি ভাল্লুক, ১টি অজগর সাপ, ২টি বালি হাঁস, ১৩টি বক, ৪টি বানর, ১টি গন্ধগোকূল, ১টি শকুন, ১টি চিল ও ৫টি সজারু।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক মো. জহির আকন জানান, গোপন সংংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার নরসিংদীর সদর থানা এলাকার আরশীনগর পার্ক ও মিনি চিড়িয়াখানা পরিদর্শনে গিয়ে সেখানে অবৈধভাবে বেশকিছু দেশী-বিদেশী পাখি ও বন্য প্রাণি খাঁচায় আটকে রাখা হয়েছে দেখতে পান। পরে ওই মিনি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ এবং দেশীয় বন্যপ্রাণী খাঁচায় বন্দি করে রাখা দন্ডণীয় অপরাধ-এ সম্পর্কে জনানো হয়। মিনি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ আইন না জেনে বন্যপ্রাণীগুলোকে আটক রাখার কথা স্বীকার করলে প্রাণিগুলোকে তাদের কাছে হস্তান্তর করতে বলা হয়। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানালে তারা। পরে মিনি চিড়িয়াখানার ওইসব পাখি ও বন্যপ্রাণীগুলো বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের কাছে স্থানান্তর করে। বন্য প্রাণীগুলোকে উদ্ধার করে বৃহসবপতিবার প্রাণি-পাখিগুলোকে অবমুক্ত করার জন্য গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান, পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার মো. আনিসুর রহমান ও মোঃ সারোয়ার হোসেন খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ তবিবুর রহমান জানান, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক মোঃ জহির আকন উপস্থিত থেকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সাফারী পার্ক কর্তৃপক্ষকে উদ্ধার হওয়া ওইসব প্রাণি ও পাখিগুলো বুঝিয়ে দেন। এদের মধ্যে বানর ও গন্ধগোকুল ভাওয়াল ন্যাশনাল পার্কে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অন্য পাখিগুলোকে সাফারি পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছে। আর অন্য প্রাণিগুলোকে সাফারি পার্কে আলাদা করে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।