গাজীপুরে ১০ম শ্রেণীর এক ছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে খুন করেছে তার পাষন্ড মা। পুলিশ নিহতের মা হেলেনা বেগমকে (৪২) গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় বৃহষ্পতিবার স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে নিহতের বাবা। নিহতের নাম- উম্মে হুমায়রা বিজলী (১৭)। সে বরিশালের মুলাদী থানার বাহাদুরপুর এলাকার মো. বজলুর রহমানের মেয়ে।
জিএমপি’র বাসন থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শেখ মিজানুর রহমান মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাসন থানাধীন চান্দনা গ্রামের বুড়ির মোড় এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থেকে সিকিউরিটি গার্ডেও চাকুরি করেন বজলুর রহমান। তার বড় মেয়ে উম্মে হুমায়রা বিজলী (১৭) স্থানীয় গাজীপুর পুলিশ লাইনস স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে গত ২১ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিজলীকে শাসন করছিলেন তার মা (বজলুর রহমানের স্ত্রী) মোসা. হেলেনা বেগম (৪২)। শাসনের একপর্যায়ে মেয়ে বিজলীর গায়ে কোরোসিন ঢেলে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন হেলেনা। তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নেভান। আগুনে বিজলীর শরীরের বিভিন্নস্থান দগ্ধ হয়। স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তার অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইন্সটিটিউট এন্ড হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫দিন পর বুধবার দুপুরে বিজলী মারা যান। এ ব্যাপারে হেলেনার বিরুদ্ধে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী (হেলেনার) বজলুর রহমান বাদী হয়ে বৃহষ্পতিবার থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ মামলার আসামী মোসা. হেলেনা বেগমকে (৪২) গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত হেলেনা বেগম বরিশালের মুলাদী থানার বাহাদুরপুর এলাকার মোঃ হানিফ খানের মেয়ে।