গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ক্যাম্পাসের গাছ থেকে আম পাড়তে বাঁধা দেওয়ায় বহিরাগতদের হামলা ও মারধরে ৫ কারারক্ষী আহত হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই সহোদরসহ ৩ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে শনিবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার কুদ্দুস রহমানের ছেলে মো. নাঈম (২০), রাজশাহীর মোহনপুর কুলশর এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. করিম (২২) ও মোহাম্মদ জামান (১৯)। এদের মধ্যে নাঈম গাজীপুরের কোনাবাড়ির এঞ্জেল গেইট এলাকায় এবং করিম ও জামান একই থানার হরিণের চালা এলাকায় বসবাস করে।
পুলিশ ও কারা সূত্র জানায়, শনিবার দুপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারা ক্যাম্পাসের পূর্ব পাশের সীমানা প্রাচীর টপকে বহিরাগত ৮/৯ যুবক ভিতরে প্রবেশ করে গাছ থেকে আম পাড়ছিল। এসময় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর কারারক্ষী এরশাদ হোসেন বাঁধা দিলে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে যুবকরা এরশাদকে মারধর করতে থাকে। এরশাদের ডাক চিৎকারে অন্য কারারক্ষীরা এগিয়ে এলে তাদের সঙ্গে যুবকদের হাতাহাতি হয়। বহিরাগত যুবকরা পুনঃরায় দেওয়াল টপকে বাইরে চলে গেলে কয়েক কারারক্ষী তাদের পিছু নেয়। যুবকরা ইট পাটকেল ছুঁড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার মো. আবু সায়েম জানান, বহিরাগতদের হামলায় ও ইটের আঘাতে কারারক্ষী এরশাদ হোসেন, মো. সুজন খান, পারভেজ হোসেন, হারুন অর রশিদ ও মিজান খান আহত হন। মাথায় আঘাত প্রাপ্ত এরশাদসহ আহতদের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
জিএমপি’র কোনাবাড়ি থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানান, এ ঘটনায় শনিবার রাতে কারারক্ষী এরশাদ হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩জনকে রাতেই গ্রেফতার করেছে।