ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। মঙ্গলবার (১৮ মে) রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে মাত্র ২৫ মিনিটে উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ১২২টি শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এ হামলায় অন্তত ৬০টি যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা গাজায় হামাসের সুড়ঙ্গ ও ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত অন্তত ৬৫টি স্থানে হামলার দাবি করেছে। খবর আল জাজিরার।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি হামলার পর থেকে পাল্টা প্রতিরোধ হিসেবে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসলায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট ছুঁড়ছিল। এক্ষেত্রে হামাস ভূগর্ভস্থ কিছু সুড়ঙ্গ ব্যবহার করে আসছিল। মঙ্গলবার রাতে হামাসের এসব সুড়ঙ্গ লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র হিদাই জিলম্যান প্রেস ব্রিফিংয়ে দাবি করেন, মাত্র আধা ঘণ্টায় তারা ৬৫টি স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। হামাসের কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ ধ্বংস করতেও সক্ষম হয়েছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী।
তবে তার এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করে এখনও কোনো বার্তা দেয়নি হামাস। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর, মঙ্গলবার সকাল থেকে গাজার অন্তত ৬৫টি স্থানে বিমান হামলা হয়েছে। গাজার পশ্চিমের আর-রামাল এলাকায় সবচেয়ে বেশি হামলা হয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘যুদ্ধবিরতির’ আহ্বানের পরও গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে ২২০ জনে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার (১৯ মে) আল জাজিরা জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলা দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২২০ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬৩ জন শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত দেড় হাজার ফিলিস্তিনি।
অপরদিকে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলের তিন সেনাসহ ১২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই শিশু এবং একজন ভারতীয় নারী রয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলের অন্তত ৩০০ জন আহত হয়েছেন।