স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে থাকা খাল ও জলাশয়গুলো ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বুধবার (১৯ মে) ঢাকা মহানগরীর খাল এবং প্রাকৃতিক জলাশয় সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় ভার্চুয়াল সভায় যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি জানান, রাজধানীতে ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে হাতিরঝিলের সকল বন্ধ স্লুইসগেট খোলা রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, এরই মধ্যে ওয়াসা থেকে ২৬টি খাল দুই করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দুই মেয়র ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনায়, খাল সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এর বাইরেও রাজধানীতে ১৭টি খাল রয়েছে। এই খাল ও জলাশয় দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালউদ্দীন আহমদকে আহ্বায়ক করে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ/সংস্থা ও দপ্তরের প্রতিনিধি নিয়ে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই রিপোর্ট প্রদান করবে। এর পরেই হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

মন্ত্রী জানান, দুই সিটি করপোরেশন এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত খাল ও জলাশয়গুলোর সংস্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণে তাদের পরিকল্পনার কথা জানাবেন। নগরীর অনেক বাসা-বাড়ির মালিক তাদের নিজেদের সেপটিক ট্যাংক না রেখে সুয়ারেজের লাইন সরাসরি খালে দিয়ে থাকেন। এসব বাসার মালিকরা যদি নিজেদের সেপটিক ট্যাংক না তৈরি করে তাহলে আগামীতে এসব লাইন বন্ধ করে দেয়া হবে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী মোঃ শরীফ আহমেদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ/সংস্থা ও দপ্তরের প্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।