গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ঈদের দিন (শুক্রবার) পুলিশের অন্তঃসত্ত্বা এক নারী সদস্যের ঝুলন্ত লাশ তার বাবার বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ঈদের ছুটিতে কাপাসিয়ার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। নিহতের নাম মানসুরা আক্তার (২২)। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার কড়িহাতা ইউনিয়নের পেওরাইট গ্রামের মুজিবুর রহমানের মেয়ে।
কাপাসিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ মনিরুজ্জামান খান ও নিহতের পরিবার জানান, প্রায় তিন বছর আগে কাপাসিয়া উপজেলার কড়িহাতা ইউনিয়নের আঞ্জাব গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে তুহিনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় মানসুরা আক্তারের। নারায়নগঞ্জ শিল্প পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন মানসুরা আক্তার। ঈদ উপলক্ষে ৫দিনের ছুটি নিয়ে ঈদের আগেরদিন বৃহষ্পতিবার কর্মস্থল হতে বাবার বাড়ি আসেন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা মানসুরা আক্তার। তাকে শশুর বাড়ি নিতে আসেন স্বামী তুহিন। কিন্তু মানসুরা শশুর বাড়ি যান নি। ঈদের দিন সকালে মায়ের হাতের রান্না করা সেমাই খেয়ে মানসুরা ঘুমানোর কথা বলে একটি কক্ষে ঢুকে দরজা আটকিয়ে দেয়। বিকেল পর্যন্ত তার কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে ডাকাডাকি করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো মানসুরা আক্তারের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সন্ধ্যায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে এটি আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।