চলতি বছর জনপ্রতি ফিতরা সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৭০ টাকা নির্ধারণ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)। গতকাল বুধবার সকালে ইফার সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্তের পর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গেল বছরও মাথাপিছু সর্বনিম্ন ফিতরা ছিল ৭০ টাকা। আর সর্বোচ্চ ছিল ২ হাজার ২০০ টাকা।
ইফার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সকালে জাতীয় ফিতরা কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান।
সভায় সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়, ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী আটা, যব, গম, কিশমিশ, খেজুর, পনির ইত্যাদি পণ্যের যে কোনো একটি দিয়ে ফিতরা দেওয়া যায়। দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, গম, কিশমিশ, খেজুর ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজারমূল্যের ভিত্তিতে ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী পণ্যগুলোর যে কোনো একটি পণ্য বা এর বাজারমূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতে পারবেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উন্নতমানের গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে তার সমমূল্য বা ১ কেজি ৬০০ গ্রাম বা বাজার মূল্য ৭০ টাকা দিতে হবে, যব দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২৮০ টাকা, কিশমিশ দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১ হাজার ৩২০ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১ হাজার ৬৫০ টাকা, পনির দিয়ে ফিতরা আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজারমূল্য ২ হাজার ৩১০ টাকা দিতে হবে। তবে এসব পণ্যে বাজার মূল্যে তারতম্য রয়েছে, তাই স্থানীয় বাজার দরের সঙ্গে মিল রেখে ফিতরা দেওয়া যাবে।