দেশে মহামারি করোনাভাইরাস আবার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশে আবারো বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। গত একদিনে অদৃশ্য ভাইরাসটি বাংলাদেশের আরো ১১ জনের প্রাণ কেড়েছে। একই সময়ে নতুন করে এক হাজার ৮৬৫ জনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া, নতুন মারা যাওয়া ১১ জনকে নিয়ে বাংলাদেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৬০৮ জনে। আর মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৬২ হাজার ৭৫২ জনে।

বুধবার (১৭ মার্চ) বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো এক হাজার ৫১০ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ১৫ হাজার ৯৮৯ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ২৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

সবমিলিয়ে বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১২ কোটি ১২ লাখ ২৯ হাজার ৭৯৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৬ লাখ ৮১ হাজার ৯৬৩ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে নয় কোটি ৭৭ লাখ ৮০ হাজার ২৪৭ জন।

এর আগে, গত ১৬ মার্চ দেশে ২৬ জন করোনায় প্রণ হারান। এছাড়া ১৫ মার্চ ২৬ জনের, ১৪ মার্চ ১৮ জনের, গত ১৩ মার্চ জনের ১২ জন, ১২ মার্চ ১৩ জনের, ১১ মার্চ ৬ জনের, ১০ মার্চ ৭ জনের, ৯ মার্চ ১৩ জনের, ৮ মার্চ ১৪ জনের ও ৭ মার্চ ১১ জনের মৃত্যু হয়।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ; তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গতবছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। আর চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে রয়েছে।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গতবছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেবছরের ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা ছিল এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বুধবার একদিনে সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৯ হাজার ৮৩০ জন এবং একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯৯ জন।