অর্থহীনের বেজ বাবা’খ্যাত সুমনের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বছরই তার জার্মানিতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনায় কারণে আটকে আছে তার চিকিৎসা। দিন দিন তার অসুস্থতা বাড়ছে। অর্থহীন ব্যান্ডের ম্যানেজার রাজু আহমেদ জানান, সুমনের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে বেশি খারাপ। করোনার কারণে ভিসা জটিলতা দেখা দিয়েছে। তার স্পাইনাল কর্ডের ব্যথা অনেক বেড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে তার চিকিৎসা দরকার। তার এই সমস্যার চিকিৎসা হয় জার্মানিতে। আর সে কারণে চেষ্টা করা হচ্ছে তাকে দ্রুত জার্মানিতে নিয়ে যাওয়ার।
বাবা’খ্যাত সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘শরীরের অবস্থা ভালো না। আমি তো বিছানায়, উঠতে পারি না। খুব বাজে অবস্থা।’
আপাতত জামার্নিতে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাহলে কি অন্য কোনো দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন? উত্তরে সুমন বলেন, ‘এটা খুবই গুরুতর ও জটিল সার্জারি। এখানে রিস্ক নেওয়ার সুযোগ নেই। তাই অন্য দেশে চেষ্টা করছি না। আমাকে অপেক্ষা করতেই হবে আরও দু’এক মাস। তারপর যেতে পারবো। আমি ঠিকমত কথা বলতে পারছি না।’
বছরখানেক আগে বেজ বাবা সুমন নিজেই জানিয়েছিলেন, নতুন করে তার শরীরে অস্ত্রোপচার করতে হবে। আর এই সার্জারি সফল না হলে তিনি সারাজীবনের জন্য পঙ্গুও হয়ে যেতে পারেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা খুব একটা আশাবাদী নন।
তাহলে বর্তমানে কীভাবে তার চিকিৎসা চলছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সুমন বলেন, ‘ডাক্তার প্রেসক্রাইব করেন, সেটাই খাচ্ছি। কিছুদিন পরপরই তারা ওষুধ চেঞ্জ করে দিচ্ছে। আবার বাংলাদেশের ওষুধও আমার জন্য খুব এটা সুবিধা হচ্ছে না। তাই ঠিক মতো চিকিৎসা হচ্ছে না। জার্মানিতে না যাওয়া পর্যন্ত হবে না।’
সুমন আরও বলেন, ‘এখন পুরোপুরি বিছানাতে। কি আর বলবো যদি চলে যাই… দোয়া করবেন।’
বেশ কয়েক বছর আগে চিকিৎসকেরা সুমনের শরীরে দুটি টিউমারের অস্তিত্ব পান। একসময় জানা যায়, তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। তখন ক্যানসারটি প্রথম ধাপে ছিল। এই গায়কের শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। এর কিছুদিন পর চিকিৎসকেরা জানান, তার আবার ক্যানসার ধরা পড়েছে। আবারও সার্জারি করা হয়।
২০১৭ সালে সার্জারির পর ব্যাংককের একটি হাসপাতাল থেকে ফিরছিলেন এই গায়ক। এমন সময় হঠাৎ একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয়। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সুমনের শরীরে প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে ৯টি সার্জারি করা হয়। ওই দুর্ঘটনায় তার স্পাইনাল কর্ডের ক্ষতি হয়। তখন তার মেরুদণ্ডের দুটি ডিস্কও পরিবর্তন করা হয়েছিল। নতুন করে এর সার্জারির জন্যই দেশসেরা এই শিল্পীর জার্মানিতে যাওয়া খুব জরুরি।