লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলের সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। আজ সোমবার সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব জাফর আহমেদ খান সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। কুয়েতে মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগে দণ্ডিত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদ সচিবালয়।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাপুলকে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করে তার সংসদীয় আসন কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না, তা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। রুল শুনানির দিন ধার্য চেয়ে রিটকারী পক্ষের আবেদনে গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ঠিক করেন।
সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিষয়টি নিয়ে স্পিকার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় কুয়েত থেকে পাঠানো পাপুলের মামলার রায়ের কপি পর্যালোচনা করা হয়। আরবি ও ইংরেজিতে লেখা ৬১ পৃষ্ঠার রায়ের কপি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের স্পিকারের দপ্তরে ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সংবিধান, কার্যপ্রণালি বিধি ও আইন অনুযায়ী এখন তার আর সংসদ সদস্য পদ নেই।
বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো সংসদ সদস্যের বিদেশে আটক ও ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত হওয়ার পর পদ হারানোর ঘটনা এটিই প্রথম।
২০২০ সালের ৬ জুন স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা মুশরেফ আবাসিক এলাকা থেকে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলকে গ্রেপ্তার করে। আটকের সাড়ে সাত মাস আর বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর সাড়ে তিন মাসের মাথায় দণ্ডিত হন তিনি। অর্থ ও মানব পাচারের মামলায় গত ২৮ জানুয়ারি তাকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় কুয়েতের আদালত। পাশাপাশি তাকে ১৯ লাখ কুয়েতি রিয়াল বা ৫৩ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়।